ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৩ ১৪৩২

একুশে টেলিভিশনে লোকগানে ঈদ আনন্দ

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পিএম, ১৯ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ধারণ করে বাঙালি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির একটি অংশ জুড়ে আছে পট গান, অষ্টক গান ও গাজী কালু চম্পাবতীর পালা।

সময়ের ব্যবধানে সেসব সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসলেও কেউ কেউ আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তা ধরে রাখার। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হবে `লোকগানে ঈদ আনন্দ।`

একুশে টেলিভিশনের সাতদিন ব্যাপী লোক গানের অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার প্রচারিত হবে খুলনা অঞ্চলের পট গান, অষ্টক গান ও দক্ষিণাঞ্চলের বিখ্যাত কালু চম্পাবতীর পালা। অনুষ্ঠানটির গবেষণা ও নির্দেশনা দিয়েছের স্বপন কুমার গুহ। পরিচালনা করেছেন রঞ্জন মল্লিক।

পরিচালক রঞ্জন মল্লিক একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, লোক গান বাংলার মানুষের আদি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি তুলে ধরে মানুষকে কিছুটা বিনোদন দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, পটগানে বাংলার অতি সাধারন মানুষের জীবন যাত্রা উঠে এসেছে। আমাদের পূর্ব পুরুষদের আনন্দ বিনোদনের উৎস ছিল পট গান। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পট গানে সব মানুষের কথা আছে।

`লোকগানে ঈদ আনন্দ` অনুষ্ঠানের আজকের পর্ব সম্পর্কে রঞ্জন মল্লিক জানান, আজকের অনুষ্ঠানে অষ্টক গান থাকছে। আটজন সখীদের নিয়ে চন্ডিদাস ও রজকীনির প্রেম কাহিনী এতে বর্ণিত হয়েছে।

খুলনার সুন্দরবন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গাজী কালু চম্পাবতীর পালা এক সময় মানুষের বিনোদনের খোরাক জোগালেও এখন আর তা শুনা যায়না কোথাও। চম্পাবতীর বন দেবী হওয়ার কাহিনী বর্ণিত ছিল তাতে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় হিন্দু মুসলমানের সম্মিলনকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা ছিল এসব পালায়।

একদিকে গাজীর কথা যেমন আছে তেমনি আছে বনদেবী চম্পাবতির কথা। বাংলার কবি- সাহিত্যিকদের অপূর্ব সৃষ্টি পালাগান। বাংলা সাহিত্যের মুগ্ধকর এসব পালা আমাদের সংস্কৃতিকে করেছে বর্ণাঢ্য।

লোকগানে ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানের পরিচালক রঞ্জন মল্লিক বলেন, আশা করছি আমরা দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে সক্ষম হব।