ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

বাচ্চাকে মোবাইল দিলেন, ক্ষতি ডেকে আনলেন

প্রকাশিত : ০৫:৫৭ পিএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার

আপনার শিশুকে ধরিয়ে দিচ্ছেন স্মার্টফোন। ভাবছেন শিশুর বাইনা মেটাতে এটাই সবচেয়ে উপযোগি উপাদান। আপনার মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতেই শিশু শিখে ফেলছে মোবাইলের খুঁটিনাটি। গর্ব করে বলছেন স্নেহের সন্তান আপনার প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে।

কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন অতিরিক্ত পরিমাণে স্মার্টফোনের টাচস্ক্রিন ব্যবহার মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে আপনার শিশুর উপর। এমনকী, ভবিষ্যতে তার পেন বা পেনসিল ধরতেও সমস্যা হতে পারে। অক্ষম হয়ে যেতে পারে আঙুলও।
স্মার্টফোনের টাচস্ক্রিন ব্যবহার মারাত্মক প্রভাব।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডে এনএইচএস ট্রাস্টের কয়েক জন চিকৎসকের করা একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই ভয়ঙ্কর তথ্য। কলকাতার অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের মতে, লেখা বিষয়টি কিন্তু হাতের কবজি ও আঙুলের এক জটিল যোগসাজশের উপর নির্ভর করে। বাচ্চাদের ঠিক উপায়ে পেনসিল বা পেন ধরার জন্য আঙুল ও কবজির পেশিগুচ্ছের জোর দরকার হয়। এবং পেশির সঠিক সংকোচন-প্রসারণও প্রয়োজন। কিন্তু তা ক্রমশ কমে যাচ্ছে টাচস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে।

এই প্রজন্মের শিশুদের অনলাইন গেম, মোবাইল, ট্যাব বা ভিডিও গেমের প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁক তাদের আঙুলের উপর চাপ তৈরি করে চলেছে প্রতিনিয়ত। আঙুলের গোড়ার দিকে পেশিগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়লেও মিলছে না নিস্তার। তাই লেখার সময় হয় হাতের লেখা নিয়ন্ত্রণে থাকছে না, নয়তো দ্রুত লিখতে না পারায় শেষ করে আসতে পারছে না প্রশ্নের উত্তর। সারাক্ষণ ঘাড় গুঁজে মোবাইলে মগ্ন থাকায় কম বয়সেই স্পনডিলাইটিসের শিকার হচ্ছে। যার ফলে আঙুল অসাড় হয়ে পড়ছে।

তাই বাচ্চার আঙুল সুরক্ষিত রাখতে বাচ্চা থেকে দূরে রাখুন টাচস্ক্রিন মোবাইল, ট্যাব ও ভিডিও স্ক্রিন ।

আরকে//