ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩২

মানুষের আয়ু সর্বোচ্চ সীমায় দাঁড়িয়েছে!

প্রকাশিত : ১০:৪২ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১০:১২ এএম, ১ জুলাই ২০১৮ রবিবার

মানুষের আয়ু বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় দেখা যাচ্ছে চিকিৎসাক্ষেত্রে। কিন্তু মানুষের আয়ুর কী কোনো সীমারেখা আছে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমান যুগে মানুষের আয়ু সর্বোচ্চ সীমায় এসে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ‘মানুষের আয়ুর সীমা এখনও পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই গবেষকরা দাবি করেন, ১০৫ বছরের পর বয়সের সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকি একই থাকে, বাড়ে না।

১৮২৫ সালে ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ বেনজামিন গোমপার্টেজ মত প্রকাশ করেন, বয়সের সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি। যেমন ৩০ বছর বয়সের এক ব্যক্তির তুলনায় ৭০ বছর বয়সের এক ব্যক্তির মৃত্যু ঝুঁকি অনেক বেশি থাকবে। তার এই মতের সমর্থন করেন অনেকেই। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এই ঝুঁকি কমে আসে।

উদাহরণস্বরূপ ৩৫ বছরের তুলনায় ৪৫ বছর বয়সে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটা বেশি হয়। কিন্তু ১০০ বছর আর ১১০ বছর বয়সে মৃত্যু ঝুঁকি প্রায় একই থাকে।

এই বিষয়টি নিয়েই ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিন হাজার ৮০০ জন ইতালীয় নাগরিকের ওপর গবেষণা করা হয়। তাদের সকলেরই বয়স ছিল ১০৫ বছরের বেশি।  ইতালি থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয় কারণ প্রতিবছর জানুয়ারিতে নগর প্রশাসন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে।

 

গবেষণায় দেখা যায়, ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিবছর বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি। কিন্তু ৮০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি ধীর হতে থাকে। ১০৫ বছরের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় একই থাকে। ১০৫ বছর, ১১০ বছর, ১১২ বছর বয়সে মোটামুটি একই থাকে এই ঝুঁকি। সুতরাং মানুষের আয়ুর সীমারেখা টানা সম্ভব হয়নি এখনও।

গবেষণাকে নিখুঁত করার জন্য ১০০ বছর বয়সের পর প্রয়াত হয়েছেন এমন মানুষদের ডেথ সার্টিফিকেটও সংগ্রহ করেন গবেষকরা। তবে এই গবেষণায় বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন নারী। দেখা যায়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশিদিন বাঁচেন এবং নিজেদের সঠিক বয়সও তারা মনে রাখতে পারেন।

অনেক গবেষক অবশ্য দাবি করেন, প্রাকৃতিকভাবেই মানুষের বয়সের একটি সীমা আছে। এটাও ঠিক যে ১০৫ বছর বয়সের পর মৃত্যুর ঝুঁকি স্বাভাবিকভাবেই খুব বেশি। এক বা দুই বছরে তেমন কিছু আসে যায় না। এই গবেষণার মতো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে আরও ১৫টি দেশে। সেসব দেশ থেকে আরও সার্বজনীন তথ্য পাওয়া যাবে মানুষের আয়ুর ব্যাপারে।

সূত্র: লাইভসাইন্স।

কেআই/ এসএইচ/