ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বেলজিয়ামকে ভাবাচ্ছে নেইমার 

প্রকাশিত : ১১:৫৯ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১২:০৭ এএম, ৫ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

গ্রুপ পর্বের পর দ্বিতীয় রাউন্ডও শেষ। সকল হিসেব নিকেষ এক কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে। আগামী ৬ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল এবং বেলজিয়াম। শেষ মুহুর্তে নেইমারকে ঘিরেই নিজেদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বেলজিয়াম।     

রাশিয়ার কাজান অ্যারেনা স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাত ১২টায় মুখোমুখি হবে এই দুই দল। বরাবরের মতো এদিনও ব্রাজিলের তারকা খেলোয়াড় নেইমার জুনিয়র খেলবেন লেফট উইংয়ে। নেইমারকে সাহায্য করতে সাথে থাকবেন মার্সেলো কিংবা ফিলিপে লুইস। আর মধ্যম ভাগ দিয়ে আক্রমণ সাজিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে থাকবেন প্লে মেকার ফিলিপে কৌতিনহোও।

আর তাই ব্রাজিলের বাঁ পাশ দিয়ে আক্রমণে ওঠা প্রতিপক্ষের জন্য মারাত্মক হুমকি। ব্রাজিলের বাম উইংয়ের এই আক্রমণ ঠেকানোর দায়িত্বে থাকবেন বেলজিয়াম রাইট ব্যাক থমাস মিউনিয়ের। তবে ম্যাচের আগে এক ধরণের আত্মসমর্পনই করলেন থমাস।  

বেলজিয়াম এই ডিফেন্ডার নেইমার প্রসঙ্গে বলেছেন, নেইমারকে আটকানোর উপায় তার জানা নেই। বেলজিয়াম দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে নেইমারকে হয়তো সবচেয়ে বেশি চেনা মিউনিয়েরের। নেইমারের পিএসজি সতীর্থ তিনি। নেইমারকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আছে তার। আর তাই তিনি জানিয়েছেন, নেইমারকে কিভাবে চোখে চোখে রাখতে হয় তা তার জানা নেই। 

মিউনিয়ের বলেন, `আমার জানা নেই কিভাবে নেইমারকে আটকে রাখা যায়। সে খুব দূর্বোধ্য। সম্ভবত আমার সঙ্গে এবং বিপক্ষে খেলা বিশ্বের সেরা ফুটবলার সে। তাকে রুখতে আমি আমার সেরাটা দেবো। আমি জানি যে, তাদের হারিয়ে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ আমাদের আছে। কিন্তু আমি এও জানি নেইমারকে ঠেকানো কত কঠিন কাজ।`  

চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে চার ম্যাচে এখন পর্যন্ত দুইটি গোল করেছেন নেইমার। এছাড়াও সতীর্থদের দিয়ে আরও দুই গোল করাতে সাহায্য করেছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই গোল করেছিলেন বদলি খেলোয়াড় রর্বাতো ফিরমিনো। দুটি গোল আছে কৌতিনহোর নামের পাশে। মিউনিয়েরের মতে শুধু নেইমারকে নয় ব্রাজিল দলের কৌতিনহো, ফিরমিনো, জেসুস, মার্সেলো সবাইকে ঠেকানোই কঠিন। পুরো ব্রাজিল দলকে আটকানোই কঠিন বলে মনে করেন তিনি।

তবে মার্সেলোর খেলা নিয়ে সন্দেহ এখনও কাটেনি। গ্রুপ পর্বে সার্বিয়ার বিপক্ষের ম্যাচে ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে অল্প সময়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো মার্সেলোকে।

//এস এইচ এস//এসি