ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

‘মনে প্রাণে চাই আমার সংসারটা টিকে যাক’

প্রকাশিত : ১১:২০ এএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১১:২৭ এএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

‘আমার সংসার ভাঙার গুঞ্জনে মিডিয়ার অনেককেই খুশি হতে দেখলাম। কেউ কেউ তো আবার ফেসবুকে ইনিয়ে বিনিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। কী আজব দুনিয়া রে ভাই! অথচ আমি কিন্তু এখনো মনে প্রাণে চাই আমার সংসারটা টিকে যাক। অন্তত বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আলমের সঙ্গে একই ছাদের নিচে থাকতে চাই।’
অনেকটা আক্ষেপের সুরে গণমাধ্যমকে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন শ্রাবন্তী।
সম্প্রতি তার দাম্পত্যে ফাটলের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে মিডিয়াপাড়ায়। এমনকি শ্রাবন্তীর সংসারের মামলা-মোকদ্দমার বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। ২০১০ সালের অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রাবন্তীর। এই দম্পতির ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে রাবিয়াহর বয়স ৭ আর ছোট মেয়ে আরিশার সাড়ে ৩ বছর।
শ্রাবন্তীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। শ্রাবন্তীর দাবি, নোটিশটি তার হাতে পৌঁছায়নি। পৌঁছেছে তার বোনের বাসার ঠিকানায়। শ্রাবন্তীও আলমের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে ‘নারী নির্যাতন আর যৌতুক’ আইনে মামলা করেছেন।
মূলত পারস্পরিক সন্দেহ ও মনোমালিন্যের কারণে শ্রাবন্তী-আলমের সংসারে বিচ্ছেদের এই স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠেছে বলে জানা গেছে। মূল অভিযোগ তাদের এই ভালোবাসার বন্ধনে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন।

শ্রাবন্তী বলেন, মালয়েশিয়ায় এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে আলমের। মায়ের চিকিৎসার জন্য আলম সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু এরপর সেই সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। তাদের কল রেকর্ড ও মোবাইল চেক করেও আমি অনেক কিছুর প্রমাণ পেয়েছি। খুব সুখেই কেটেছে বিয়ের পর আমাদের জীবন। অথচ গত একটি বছর ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে সেই মেয়ের কারণে।
শ্রাবন্তী আরও বলেন, আলমের সঙ্গে সেই মেয়ের সম্পর্ক জানার পর আমাকে বেশ কয়েকবার হুমকি দেয়া হয়েছে। সেই মেয়ে নিজেই আমাকে হুমকি দিয়েছে প্রতিনিয়ত। এমনকি তার স্বামীকেও বিষয়টি জানিয়েছি। তারপরেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। অথচ মেয়েটি আমাকে বলেছে আলমের পরিবারের সাপোর্ট রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন দুই সন্তানসহ শ্রাবন্তী বাংলাদেশে এসেছেন। এখন তিনি বগুড়ায় রয়েছেন।
এসএ/