ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জবির হল নির্মাণের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ সম্পন্ন হয়নি  

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:০৩ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:০৫ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম এবং একমাত্র হলের নির্মাণ কাজ এ বছরের জুন মাসে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতীক্ষিত এই হলের নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। 

এই বিলম্বের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদাসীনতাকে দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ নামের ওই ছাত্রী হল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ তিন বার বৃদ্ধি করা হয়। 

প্রথম মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদ ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। 

সর্বশেষ ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত তৃতীয় বারের মতো মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের জুন মাস পার হয়ে গেলেও নির্দিষ্ট সময়ে হলের কাজ শেষ হয়নি।  

সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের যেকোনো কাজের মেয়াদ দুই বারের বেশি বাড়ানো হয় না। কিন্তু বিশেষ বিবেচনায় তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ হলটির কাজ।

বিলম্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বহীনতাকে। আর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে স্থানীয় সমস্যার কথা।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢিলেঢালাভাবে চলছে হলটির নির্মাণকাজ। ১৫ তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই দিলেও এখনো অনেক কাজ বাকি।  

ভবনটি ১৬ তলা হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ১১১টি কক্ষ, একটি লাইব্রেরি, একটি ক্যান্টিন, একটি ডাইনিং, প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট, আটটি গোসলখানা, ছাত্রীদের ওঠা নামার জন্য চারটা লিফট থাকবে।

এগুলোর আংশিক কাজ হলেও বেশিরভাগ কাজই এখনো করা হয়নি। দরজা, জানালা, পানির পাইপ কিছুই লাগানো হয়নি। এছাড়া লিফট, গ্যাস লাইন ও পানির জন্য দরপত্রও করা হয়নি। 

কাজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরোপুরি হল বুঝিয়ে দিতে আরো ১০ থেকে ১২ মাস লাগতে পারে বলে জানান নির্মাণ কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক।

প্রকল্প দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে প্রকল্প ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি ২০১১ সালে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৪ সালে আমাদের হাতে বুঝিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভবনের কাজ করার জন্য আশপাশে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন সেই পরিমাণ পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই একপাশ থেকেই কাজ চালাতে হয়েছে।

একসাথে মালামাল রাখতে না পারা এবং বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগকে তিনি দায়ী করেন। তিনি আশা করেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।  

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, হল বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। এই বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ভালো বলতে পারবেন। আমরা বিভিন্ন সময় তাদের চাপ প্রয়োগ করেছি কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। তবে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।  

এমএইচ/এসি