কোটা পর্যালোচনা কমিটির সভা: দেশ-বিদেশের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৪:০৪ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সরকার গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক শেষ হয়েছে। সভায় দেশে–বিদেশে কোটাসংক্রান্ত যেসব তথ্য ও নিয়ম আছে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন কমিটির প্রতিবেদন সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাচিবিক দায়িত্বে থাকা একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কোটা সংস্কারের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধার প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের এই কমিটি করে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), অর্থ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবকে এই কমিটিতে রাখা হয়।
এই কমিটিকে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা বা সংস্কার বা বাতিলে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনে বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের যৌক্তিকতাসহ সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন দিতে হবে আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে।
বৈঠক শেষে যুগ্ম সচিব বলেন, ওই তথ্যগুলো পাওয়ার পর কমিটির দ্বিতীয় সভা হবে। তিনি বলেন, নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই কাজটি শেষ করার চেষ্টা চলছে। এই সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে না পারলে পরে বলা যাবে। তাঁরা ১৫ দিনের মধ্যেই কাজটি শেষ করতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন এ আন্দোলন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটাই থাকবে না।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আড়াই মাস পরও কোটার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত শনিবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় কোটা আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা জড়ো হলে তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নূরসহ বেশ কয়েকজনকে বেধরক মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদের গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষাবিদদের লাঞ্চিত করে আইনশৃংখলা বাহিনী।
/ এআর /