ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি’র দ্বারপ্রান্তে: জব্বার

প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৪:০৩ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার

চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোর-জি চালুর পর বাংলাদেশ এখন ফাইভ-জি এর দ্বারপ্রান্তে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আর পঞ্চম প্রজন্মের এই নেটওয়ার্ক চালু হলে সমস্ত পৃথিবীর মানুষের জীবনধারনের আমূল রূপান্তর হবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল সংযোগ সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান রবি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার। আজ রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রবি’র উদ্ভাবনী ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম ‘আর-ভেঞ্চারস’ কার্যক্রমের শুরু উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, “এতদিন পৃথিবী কায়িক শ্রম নির্ভরশীল ছিল। এখন তা মেধাশ্রম দিয়ে প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। আর এই মেধাশ্রমকে গুরুত্ব দিয়েই নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে আমাদের”।

মেধাশ্রমকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এর সংরক্ষণের প্রতিও জোর দেন তিনি। মেধাশ্রম সংরক্ষণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “শিল্প বিপ্লবের বড় অবদান ছিল মেধাসত্ত্ব। আর এখন ডিজিটাল সময়ে ডিজিটাল মেধাশ্রমের মেধাসত্ত্ব আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা এখনও এই বিষয়টি নিয়ে সেভাবে ভাবছি না। কিন্তু এখন থেকেই তা নিয়ে আমাদের কাজ করা উচিত”।

অনুষ্ঠানে রবি’র আর-ভেঞ্চারস প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন তার কারণ এই যে, তারা সেভাবে নিজেদের মেধা গড়ে তুলতে পারেন না। আমি দেখেছি, প্রায় ৯৫ শতাংশ উদ্যোক্তাই বিজনেস প্ল্যান তৈরি করতে পারেন না। ক্যাশ ফ্লো কীভাবে হবে তার পরিকল্পনা করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে”।

এসময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়েও কথা বলেন তিনি। মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ ত্রুটিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দীন আহমেদ বলেন, “চাকরি করলেও অনেকের মধ্যেই উদ্যোক্তা হওয়ার বা নিজে কিছু করার সুপ্ত স্বপ্ন থাকে। কর্পোরেট দুনিয়ায় কাজ করে অনেকেই তাদের এসব স্বপ্ন শেষমেষ পূরণ করতে পারেন না। আমরা আমাদের কর্মীদের জন্য এই সুযোগটিই তৈরি করে দিচ্ছি। এখানে আমাদের কর্মীরা তাদের চাকরি দায়িত্ব পালন করেও নিজেদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের থেকে সবধরনের সহযোগীতা পাবেন”।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবি’র প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. ফয়সাল ইমতিয়াজ খান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, নিজেদের কর্মীদের মধ্যে উদ্যোক্তা হতে চায় এমন কর্মীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকভাবে শুরু হয় রবি’র ‘আর-ভেঞ্চারস’ প্রকল্প। এতে প্রাথমিকভাবে মৌলিক ২১২টি পরিকল্পনা জমা দেয় রবি’তে নিয়োজিত কর্মীরা। সেখান থেকে শীর্ষ ৬টি পরিকল্পনার উদ্যোগকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন করবে রবি।

//এস এইচ এস//