ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মিঠুনের ছেলের বিয়ের আসর থেকে চলে গেলেন পাত্রী পক্ষ  

প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৮ সোমবার

শনিবার অর্থাৎ ৭ জুলাই বিয়ে ছিল মিমোর। প্রযোজক সুভাষ শর্মার মেয়ে মাদালসা শর্মার সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয়ের। তবে আশঙ্কাও ছিল যে বিয়ের আগেই গ্রেফতার করা হতে পারে মিমোকে। তবে গ্রেফতার না করা হলেও বিয়েটা আর করা হল না মিমোর৷ এক আশঙ্কা মিটলেও দানা বাঁধল আরেক সমস্যা৷

অবশেষে পিছিয়ে গেল মহাক্ষয়ের বিয়ে৷ মহাক্ষয় এবং যোগিতা বালিকে আদালত অন্তর্বতীকালীন জামিন দিলেও বিয়ের আসরে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিমো এবং তাঁর মা যোগিতা বালিকে। এমত অবস্থায়, বেঁকে বসেন পাত্রীপক্ষ। প্রথমে বিয়েতে রাজি হলেও বিয়ে বাড়িতে সকলের সামনে হেনস্থার স্বীকার হতে হয় পাত্রীপক্ষকে। ফলত বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যান তাঁরা।  

কিছুদিন আগেই দিল্লির রোহিণী আদালতের নির্দেশ মেনে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণার মামলা দেওয়া হয়। প্রতারণার মামলা রুজু হয় মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধেও। আর এরপরেই বম্বে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। তাঁদের সেই আর্জিই খারিজ করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট। তবে তাঁরা দিল্লি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি অজয় গডকড়ী। দিল্লি আদালতে জামিনের আবেদন করতেই অন্তর্বতীকালীন জামিন পায় তাঁরা৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হল না৷ জামিন পাওয়ার পরও বিয়ে হল না মিমোর৷

বিয়ে আসর বসেছিল উটির একটি পাঁচতারা হোটেলে৷ হোটেলটি মিঠুনেরই৷ বিয়েবাড়ি থেকে পাত্রীপক্ষ চলে যাওয়ার পরও আরও চিন্তা বেড়ে গিয়েছে মিঠুনের পরিবারের৷ পুলিশের কথায়, তদন্ত এখনও চলবে৷ বিয়ের আগে মাদালসার মা শিলা শর্মা এ বিষয় মন্তব্য করে বলেছিলেন, “বিয়ে যেদিন ঠিক করা হয়েছে সেই দিনেই হবে৷ ২০১৫ সালে মিমোর সঙ্গে মেয়েটির (অভিযোগকারিনী) দেখা হয়েছিল৷ সেটা আমরা জানতাম৷ মিমো ওর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে৷ আর এখন ওই মেয়েটি মুখ খুলল কেন? এতদিন পর? বিয়ের ঠিক কয়েকদিন আগে? এতো অপেক্ষা করার কী ছিল? প্রত্যেকের একটা অতীত থাকে৷ আর আমরা জানি সত্যিটা কী৷”

প্রসঙ্গত, অভিযোগকারিণীর আইনজীবী রবি সোনি জানিয়েছেন, ”মহাক্ষয় গত ৪ বছর ধরে চেনেন অভিযোগকারিনীকে। মিমো তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করেছেন এবং তাঁর সঙ্গে প্রতারণাও করেছেন। তাঁর পানীয়তে ঘুমোর ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছে মিমো। পাশাপাশি মিমো আমার মক্কেলকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছিলেন এতদিন। এমনকি বিয়ের জন্য অভিনেতার সঙ্গে আমার মক্কেলের ঠিকুজি কুষ্ঠিও মেলানো হয়। তবে পরে আমার মক্কেলকে বিয়ে করতে পুরোপুরি অস্বীকার করেন মিমো। তিনি সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে মহাক্ষয় ও তাঁর মা যোগিতা বালি তাঁকে জোর করে গর্ভপাত করায়।”  

এসি