ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

তিন সিটিতে প্রতীক বরাদ্দ শেষ, প্রচার শুরু

প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:১৪ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। আজ সকাল ১০ টায় এই তিন সিটির মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সকাল ৯ টায় রাজশাহী ও সাড়ে ৯ টায় সিলেট ও ১০ টার দিকে বরিশালে রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিজ নিজ দফতরে প্রতীক বরাদ্দের কাজ শুরু করেন।

তিন সিটিতে মেয়র পদে ১৮ জন ও কাউন্সিলর পদে মোট ৫৩০ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে ৬ প্রার্থী, কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন ৫২ জন।

সিলেটে নগরীর মেয়র পদে লড়ছেন ৭ জন। আর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১২৭ প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৬২ জন।

আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য এই তিন সিটি নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে ইসি। এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে তিন সিটিতে শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। একইসঙ্গে নির্বাচনের সব প্রার্থীদেরও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

ইসি সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে তিন সিটিতে মেয়র পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ জন। এছাড়া, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জনসহ মোট ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে তিন সিটিতে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৫৪৮ জন। এদিকে, নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে প্রার্থিরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রতীকে।

ইসি জানিয়েছে, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তিন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে রাজশাহীতে ১০ জন, বরিশালে ১০ জন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (রাসিক) মেয়র পদে প্রার্থী পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির (ধানের শীষ) মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (কাঁঠাল) মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও গণসংহতি আন্দোলনের (হাতি) অ্যাডভোকেট মুরাদ মুর্শেদ।

এই সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫২ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এই সিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ আমিরুল ইসলাম।

সিলেট

সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জনসহ মোট ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান, বিএনপির মো. আরিফুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজামান সেলিম, জামায়াত ইসলামীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিপিবি-বাসদের আবু জাফর, ইসলামী শাসনতন্ত্রের প্রার্থী ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের। নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। রিটানিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন মো. আলিমুজ্জামন।

বরিশাল

বরিশালে মেয়ার পদে ছয় জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৯ জনসহ মোট ১৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিএনপির (ধানের শীষ) মজিবর রহমান সারোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, সিপিবির (কাস্তে) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, বাসদের ডা. মণীষা চক্রবর্তী ও জাতীয় পার্টির (লাঙল) ইকবাল হোসেন।

এই সিটিতে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন মুজিবুর রহমান। বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৩৩২ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৭ জন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৮ জুন। যাচাই-বাছাই হয় ১ ও ২ জুলাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৯ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ আজ ১০ জুলাই এবং ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৩০ জুলাই।

/ এআর /