ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সন্দ্বীপ ও সন্দ্বীপের উন্নয়ন ভাবনা

মুহাম্মদ আবদুর রহিম

প্রকাশিত : ১১:২০ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:৩১ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সন্দ্বীপ হলো তিন হাজার বছরের এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ। রাখাল বালক দেলোয়ার খাঁর আমলে সন্দ্বীপ ছিল একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। 

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এ দ্বীপের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক অবস্থার ও অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।  তাই এ দ্বীপের রয়েছে হাজার বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। 

মুঘল আমল, সেন আমল, সুলতানি আমল, পর্তুগিজ শাসন, ব্রিটিশ শাসন আর মগদের অত্যাচারসহ আধুনিক বাংলাদেশ পর্যন্ত সন্দ্বীপ এক স্বর্ণজ্জল ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের নির্বাক সাক্ষী।

কয়েকশত বছর পূর্বে যখন বাংলাদেশের চাঁদপুরের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অস্তিত্ব ছিল, অর্থাৎ বর্তমান নোয়াখালী অঞ্চলের অস্তিত্ব ছিলো না, তখন বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ছিল এ সোনার দ্বীপ সন্দ্বীপ। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে কখনো এ দ্বীপের নাম ছিল স্বর্ণদ্বীপ, কখনো সন্দ্বীপ পরগনা, কখনো সন্দ্বীপ।

উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে পানিবেষ্টিত এ সন্দ্বীপের মাটি বরাবরই উর্বর।  তাই এখানে নানা রকম শস্য-ফলমূল যেমন ধান, গম, ডাল, তরমুজ, ফুট, চীনাবাদাম, বেগুন, মরিচ, টমেটো, আলু, পিয়াজ, রসুন, মিষ্টি আলু, নারিকেল, সুপারি, খেজুরের রস থেকে শুরু করে অনেক কিছু উৎপাদন হয় যা সত্যি ছোট এ দ্বীপের উর্বর মাটির অস্তিত্ব প্রমাণ করে। যেখানে বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায় ২/৩ রকমের ধান যেমন আউস, আমন আর বোরো ধানের এর উৎপাদন হয়, সেখানে সন্দ্বীপে আউস, আমন, বোরোসহ রাজাশাইল নামক আরেক প্রকারের ধান উৎপাদিত হয় যার লবনাক্ত পানিতেও নির্বিঘ্নে চাষ করা যায়। 

ঢেকি ছিল সন্দ্বীপের আর এক ঐতিহ্য।  নতুন ধান আসলে সন্দ্বীপের গৃহ বধূরা ঢেকিতে ধান ভাঙাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়তো আর এর পরই চলতো নানারকম পিঠা আর চিড়ার আয়োজন। নতুন ধান লাগানোর পূর্বে সন্দ্বীপের বাড়িগুলোতে এক ধরণের পিঠা (ছাইন্না পিঠা) বানিয়ে সবাইকে খাওয়ানো হতো আর জমিতে ধান গাছ লাগানোর সময় চলতো মনোমুগ্ধকর সারি গানের উৎসব যা এখন শুধু ইতিহাস। অতিথেয়তায়ও সন্দ্বীপের মানুষের (নারী পুরুষ নির্বিশেষে) জুড়ি নেই।

এখানে কোনো একজন মেহমান হোক সে সন্দ্বীপের কিংবা সন্দ্বীপের  বাহিরের, তার আথিতেয়তা হবে ১০০ তে ১০০। একজন সন্দ্বীপী হিসেবে এ ব্যাপারে একটু আনন্দিত হওয়া যায়ই বৈকি। তবে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সন্দ্বীপের লোকজন মনে হয় তাদের এ গৌরবোজ্জ্বল দিকটা থেকে কিছুটা সরে এসেছে।

সন্দ্বীপ ছিল ইতিহাসের এক প্রসিদ্ধ বন্দর। এ দ্বীপে অর্ধ শতাব্দী পূর্বেও লবন উৎপাদন হতো। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে ৩০০ জাহাজ লবন বোঝাই হতো বিদেশের ও দেশের অন্যান্য জায়গার জন্য। সন্দ্বীপ বন্দরে এক সময় নির্মিত হতো ভালো মানের  জাহাজ যা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হওয়া ছাড়াও বিদেশেও রফতানি হতো। তুরস্কও ছিল সন্দ্বীপের সেই বিশ্ব বিখ্যাত জাহাজগুলোর অন্যতম ক্রেতা। 

এ ক্ষুদ্র দ্বীপটি জন্ম দিয়েছে ইতিহাসের অনেক ক্ষণজন্মা প্রবাদ পুরুষের। সপ্তদশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি আব্দুল হাকিমকে আমাদেরকে বা  না চিনি যিনি লিখেছিলেন সেই বিখ্যাত কবিতা ‘বঙ্গবাণী’-‘যে জন বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গ বাণী, সে জন কাহার জন্ম নির্ণেয় না জানি`।’ বিখ্যাত এ কবি সন্দ্বীপের সুধারাম গ্রামেই জন্ম করেছিলেন যা এখন যদি গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিজ্ঞানের কল্প কাহিনী লেখক শামসুল কবিরের বাড়ি এ সন্দ্বীপের হারামিয়া গ্রামেই। উপমহাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মুজফফরের (কাকা বাবু ) বাড়ি ছিল এ সন্দ্বীপের মুছাপুর গ্রামেই। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন সন্দ্বীপে সে কাকা বাবুর বাড়িতে এসেছিলেন তখন রচনা করেছিলেন সেই বিখ্যাত ‘মধুবালা’ কাব্যগ্রন্থ এবং কাকাবাবুর কাচারী ঘরের জানালা দিয়ে দেখা সুপারি বাগানে মুগ্ধ কবি তাই বিখ্যাত কবিতা বাতায়ন পাশে ‘গুবাক তরুর সারি’ রচনা করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বেলাল মোহাম্মদ আর আবুল কাসেম সন্দ্বীপীর বাড়ি এ দ্বীপেই। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী লালমোহন সেনের জন্ম এ সন্দ্বীপে। রাজকুমার চক্রবর্তী, ভাষাসৈনিক ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য এ সন্দ্বীপেরই অধিবাসী ছিলেন। চর্যাপদ রচয়িতাদের মধ্যে অন্যতম মিননাথের জন্মও ছিল এ সাগর কন্যা সন্দ্বীপেই। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা আবু তোরাব চৌধুরী, এ দ্বীপেই জন্মেছিলেন। এভাবে ক্ষুদ্র এ দ্বীপটিতে জন্ম নেওয়া আরও অনেক গুণী ব্যাক্তির নাম বলা যাবে যারা সত্যিকার অর্থে যুগে যুগে ধন্য করেছে সমগ্র ব্রিটিশ ভারত, বাংলা, পূর্ববঙ্গ এবং আজকের বাংলাদেশকে। বর্তমানেও অসংখ্য সন্দ্বীপী দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্ব-স্ব স্থানে অধিষ্টিত হয়ে দেশমাতৃকার কল্যানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। 

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সন্দ্বীপের মানুষ তুলনামূলকভাবে দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে। কারণ এ দ্বীপের প্রচুর সংখ্যক মানুষ ইউরোপ,আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় থাকে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করে। 

শিক্ষা দীক্ষাতে ও সন্দ্বীপের মানুষ দেশের অন্যান্য অনেক অঞ্চলের তুলনায় অগ্রগামী। তাই একটি ছোট দ্বীপ হয়েও মাত্র ৪ লক্ষ মানুষের এ জনপদে রয়েছে পাঁচটি কলেজ এবং একটি মহিলা কলেজ যার মধ্যে ২ টিতে সন্মান কোর্স চালু আছে এবং তিনটিতে ডিগ্রী চালু আছে। এদের মধ্যে একটি সরকারি কলেজ সেই ৮০ এর দশক থেকে। দ্বীপটিতে রয়েছে সর্বোচ্চ লেভেলের শিক্ষাদানকারী (কামিল) ৩টি মাদ্রাসা।  এছাড়া রয়েছে ২৮টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যার মধ্যে ২টি সরকারি (একটি বয়েস এবং একটি গার্লস)। এছাড়া এখানে রয়েছে ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯টি কিন্ডারগার্টেন এবং কিছু সংখক রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সাম্প্রতিককালে সন্দ্বীপে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও হয়েছে চোখে পড়ার মতো।  সন্দ্বীপের আনাচে কানাচে প্রায় প্রতিটি রাস্তা এখন পাকা হয়ে গেছে। তাই অভ্যন্তরীণ  যোগাযোগ ব্যাবস্থা এখন দ্বীপটিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো।  

সন্দ্বীপই বাংলাদেশের প্রথম কোনো উপজেলা বা  দ্বীপ যেখানে প্রথম সোলার গ্রিড সার্কিট মাদ্ধমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্দ্বীপই হতে যাচ্ছে প্রথম কোনো দ্বীপ যেখানে ২০১৮ সালে সাবমেরিন ক্যাবল এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ১৪৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ একটি চাইনিজ কোম্পানির তত্ত্বাবধানে এখন পুরোদমে চলছে। 

সন্দ্বীপে বিদ্যুতায়নের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের শিল্প গড়ে উঠার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প, কোল্ড স্টোরেজ, বেকারি, রাইস মিল, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, বিভিন্ন ওয়ার্কশপসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের অনেক কুটির শিল্প সন্দ্বীপে গড়ে উঠার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে। 

দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং ভালো যোগাযোগের অভাবে সন্দ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দেশের অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে বেশি।  এমন কি ঢাকা বা চট্টগ্রামের সাথে তুলনা করলে দ্বীপে দ্রব্যমূল্য বেশিই বলা যায়।  এর সম্ভাব্য কারণ প্রধান ৩টি কারণ ১. রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে দ্বীপের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে গেছে, ২. চাহিদার তুলনায় সন্দ্বীপে উৎপাদন কম এবং ৩. দেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্নতা ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই দ্বীপের মানুষের জীবনমান জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে নিম্নলিখিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

১. সন্দ্বীপের  যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কুমিরা –গুপ্তছড়া রুটে প্রতিদিন জাহাজ চলাচল শুরু করে। এক্ষেত্রে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নতুন জাহাজ খরিদ করতে হবে। মানুষের জীবনের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ফ্লোটিং জেটি বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া। বর্তমানে যারা স্পীডবোট ও লঞ্চ পরিচালনার দায়িত্বে আছে, তাদের অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে লাইফ জ্যাকেট পড়াতে হবে। সন্দ্বীপ ও  গুপ্তছড়া ঘাটে পুলিশ ফাঁড়ি প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিত তদারকি করার মাধ্যমে যাত্রী সাধারণের যান মালের এবং তাদের  হেনস্থা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।

২। বাংলাদেশ বিমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রটে ১৫০০ টাকা ভাড়াতে একটি সার্ভিস শুরু করেছে।  ১৫০০ টাকা কেন, ২০০০ টাকা হলেও সন্দ্বীপ –চট্টগ্রাম রূটে বাংলাদেশ বিমান প্রতিদিন কয়েকশত যাত্রী পাবে। কারণ ইউরোপ, আমেরিকা আর মধ্যপ্রাচ্যেসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বড় শহরে অবস্থানকারী কয়েক লক্ষ সন্দ্বীপবাসী হবে এ রূটের প্রধান যাত্রী। পাকিস্তান আমলে ও সন্দ্বীপের সাথে চট্টগ্রামের হেলিকোপটার সার্ভিস চালু ছিল। তাই বিমানবন্দর হলে সন্দ্বীপে স্থানীয় মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি দেশের পর্যটন শিল্পও এগিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সন্দ্বীপের নামে একটি বিমান বন্দরের কোড নাম্বার এমনিতেই বরাদ্ধ আছে। তাই এখন দরকার সরকারের সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়ন। এখানে বিমানবন্দর হলে যেমন সন্দ্বীপের মানুষ লাভবান হবে, তেমনি সরকারও লাভবান হবে বিপুল আয়ের মাধ্যম। তাছাড়া এখানে বিমানবন্দর হলে এখানে বিমানবাহিনীর এয়ারবেজ তৈরি করার মাধ্যমে দেশের সমুদ্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও আরও শক্তিশালী করতে পারবে। আশা করি, সন্দ্বীপের মাননীয় সংসদ সদস্য, অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগন, আর আপামর জনসাধারণ সরকারের কাছে সন্দ্বীপে এ জাতীয় একটা প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।   

৩। দ্বীপ থানা সন্দ্বীপের উন্নয়নের জন্য এখানে একটা পলিটেকনিক কলেজ এবং ভবিষ্যতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে। যেহেতু এ দ্বীপের হাজার হাজার অধিবাসী বিদেশে অবস্থান করে দেশের উন্নয়নে রেমিটেন্স জুগিয়ে যাচ্ছে, সেজন্য দ্বীপে দক্ষ জনবল গড়ে তাদেরকে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার জন্য এবং ভালো উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য কারিগরি শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। 

৪। পৌরসভা হিসেবে ১৯৯৭ সালে সন্দ্বীপের আত্মপ্রকাশ ঘটলে ও এ পৌরসভার মানুষ অনেক পৌর সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই পৌরবাসীর কথা চিন্তা করে এখানে সমস্যাগুলো চিণ্হিত করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তার সমাধান করা জরুরি। যেমন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, রাস্তাঘাটে পর্যাপ্ত সড়ক বাতি স্থাপন, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সন্দ্বীপ পৌর বাসীর প্রধান দাবি। সন্দ্বীপের অধিকাংশ রাস্তাঘাট সরু হওয়ায় এখানে যান চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা ও একারণে বেড়ে যাচ্ছে। তাই সন্দ্বীপের প্রধান ২/৩ টি রাস্তা বিশেষ করে দেলোয়ার খ রোড, গুপ্তছড়া রোড এবং  পৌরসভা রোড প্রশস্থ করা খুবই প্রয়োজন।

লেখকঃ মুহাম্মদ আবদুর রহিম, জার্মান প্রবাসী।