ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

প্রকাশিত : ০৩:০৩ এএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:০০ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকেট পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেশের জন্য অনন্য এই গৌরব অর্জন করে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলাররা।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনালের টিকেটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের শুরুতেই মাত্র পাঁচ মিনিটে গোলের দেখা পায় ইংল্যান্ড। ক্রোয়েশিয়ান ডি-বক্সের বাইরে পাওয়া এক ফ্রী-কিক থেকে নেওয়া শটে ইংলিশদের এগিয়ে দেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। তবে সেখানেই যেন শেষ! এরপর আর সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি ইংলিশ খেলোয়াড়দের। আক্রমণের বদলে ক্রোয়েশিয়ানদের সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় ইংলিশ রক্ষণভাগকে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য এগিয়ে থেকেই শেষ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ফরওয়ার্ডার ইভান পেরিসিক। ডিফেন্ডার সিমে সালজকো’র ক্রস থেকে ৬৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার জন্য বহুল প্রতীক্ষিত গোলটি করেন ইভান। এর ঠিক চার মিনিট পর আবারও সুযোগ পেয়েছিল ইভান। কাজেও লাগিয়েছিলেন সে সুযোগ। বাম পায়ে নেওয়া শট ইংলিশ গোল্ট পোস্টের ডান বারে লেগে ফেরত চলে আসে। আর ফেরত আসা বল থেকে অ্যান্টে রেবিকের নেওয়া শট রুখে দেন ব্রিটিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড।

পিকফোর্ড অবশ্য ক্রোয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি নিশ্চিত আক্রমণ নস্যাত করে দেন। কিন্তু শেষমেষ বিনা পুরস্কারেই ঘরে ফিরতে হবে তাদের। কারণ ক্রোয়েশিয়ার জন্য জয়সূচক গোল করে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় মারিও মাদজুকিক। শেষ মুহুর্তের মাত্র ১১ মিনিট আগে ইংলিশদের ‘রিটার্ন টিকিট’ নিশ্চিত করে দেন মারিও।

প্রথম ৯০ মিনিটে ১-১ এর সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও প্রথম অংশে গোল বঞ্চিত ছিল দুই দলই। তবে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ইভান পেরিসিসিকের ব্যাক হেড থেকে গোল করেন মারিও। অসহায় ইংলিশ গোলরক্ষককে রীতিমতো বোকা বানিয়ে গোলটি করেন মারিও।

ছবিঃ জয় উদযাপনে ব্যস্ত ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক। আর হতাশার লুকাতে ব্যস্ত ইংলিশ ফুটবলাররা। 

ম্যাচের একদম শেষ সময়ে সমতায় আসার একটি সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ১২০ মিনিটের পর অতিরিক্ত চতুর্থতম মিনিটে ফ্রী-কিক থেকে যদি গোল পেতো ইংল্যান্ড তাহলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল নিশ্চিত হতো ট্রাইবেকারে। তবে না হওয়ায় সেমিফাইনাল থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের।

এক গোল নিজে করেছেন আর সতীর্থকে দিয়ে দুর্দান্ত ব্যাক হেডে আরেকটি গোল করিয়েছেন। পেরিসিকের তাই ম্যাচ সেরা খেতাব একরকম পাওনাই ছিলো।

আগামী ১৫ জুলাই একই স্টেডিয়ামে এবারের আসরের ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। আর ১৪ জুলাই সেন্ট পিটাসবার্গ স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।

//এস এইচ এস//