ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ফুটবলের সৌন্দর্যটাকেই নষ্ট করছে ফ্রান্স

প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রক্ষণাত্মক তো নয় যেন চীনের প্রাচীর বানিয়ে রাখে ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা। এ জন্য তারা সাধারণত খেলায় ৪-৩-৩ ফরম্যাটে। শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখতে দলটি কখনো কখনো ৫ জনকেও নিচে নামিয়ে আনে। এতে প্রতিপক্ষ দলের ফরোয়ার্ড ও স্ট্রাইকাররা শতচেষ্টা করেও সেই দেওয়াল ভেদ করতে পারেন না। বেলজিয়াম ম্যাচেও এমনই প্রাচীর তৈরি করেছিল ফ্রান্স। আর সেই প্রাচীর নিয়েই চলছে সমালোচনা।

বেলজিয়ামের ফুটবলারদের মধ্যে ফ্রান্সের রণনীতি নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বিশেষ করে এডেন অ্যাজার আর থিবো কুর্তোয়া তো ফ্রান্স ফুটবলের একহাত নিয়েছেন। হেরে গিয়েও বেলজিয়ামের দুই তারকা তীব্র আক্রমণ ও কটাক্ষ করেছেন ফ্রান্সের জয়কে। এতটাই যে, জনৈক বেলজিয়ান সাংবাদিক যখন তাঁকে প্রশ্ন করলেন, এত ভাল খেলে হেরে যাওয়ার পর আপনি কি হতাশ? তখন শান্ত চেহারার অ্যাজার ক্ষেপে গেলেন। বলেন, ‘‘আমি হতাশ তো নয়ই, বরং গর্বিত। গোল ছাড়া আমরা সব কাজ করেছি। আমি ফ্রান্স দলে থাকলে লজ্জা পেতাম। এ রকম নেতিবাচক ফুটবল খেলে জেতার কোনও মানে হয় না।’’ মুখটা ক্রোধে লাল বেলজিয়ামের অধিনায়কের। ‘‘এটা তো ফুটবলের সৌন্দর্য্যকে নষ্ট করে দেওয়া। সারাক্ষণ রক্ষণ সামলে এমবাপেকে সামনে রেখে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল। এ রকম কেউ খেলে? এটা ফুটবল! ব্রাজিল আমাদের কাছে হারলেও তাদের ফুটবলটা খেলেছিল। ফ্রান্স সেটা করেনি।’’

বেলজিয়াম যে কতটা তেতে ছিল এবং সেই হতাশা যে কতটা প্রকট ছিল, ড্রেসিংরুমে সেটা দলের ‘নায়ক’ গোলকিপার কুর্তোয়ার কথাতে আরও স্পষ্ট। ‘‘সেট পিস থেকে ফ্রান্সের গোলটাকে আমি ম্যাজিক বলব। এক মুহূর্তের জন্য ব্যাপারটা ঘটেছে। কিন্তু ফ্রান্স আর পুরো ম্যাচে করেছেটা কী? বল দখলে আমরা এগিয়ে ছিলাম। গোলে শট নেওয়াতেও আমরা এগিয়ে। পাসিংয়েও আমরা এগিয়ে। দেখে নিন পরিসংখ্যান।’’

সেমিফাইনালে দুদলের পরিসংখ্যান নিচে দেওয়া হলো-

এমজে/