ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

৪০তম বিসিএসের সার্কুলার সেপ্টেম্বরে, ২ হাজার নিয়োগ

প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩৬ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

প্রতীক্ষার প্রহর কাটছে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের। ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসের পর এবার সার্কুলার আসছে ৪০ তম সাধারণ বিসিএসের। সেপ্টেম্বরেই এই বিসিএসের সার্কুলার হতে পারে। সে লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। প্রায় দুই হাজার নিয়োগ দেওয়া হবে ৪০ তম বিসিএসে। পিএসসি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।   

পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, ৪০ তম বিসিএসের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার ক্যাডার নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানায়, চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৩ আগস্ট নেওয়া হবে। আর ৮ আগস্ট ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। এই পরীক্ষা নেওয়ার পরই ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪০তম বিসিএসের জন্য তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ২ হাজার ক্যাডার নিয়োগের শূন্য পদ পেয়েছে। সেই তালিকা তারা পিএসসিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন পিএসসি সেটির ওপর নির্ভর করে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করবে। এতে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, পুলিশে ৭৫ জন, পররাষ্ট্রে ২৫, ইকোনমিক ক্যাডারে ৪৫, কর ক্যাডারে ২৪ জন, অডিটে ২২, শিক্ষায় দুই শতাধিক, আনসারে ১২।

এছাড়া দীর্ঘদিন পর কাস্টমস ক্যাডারে ৩২ জন ক্যাডার নেওয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

৪০তম বিসিএসের শূন্য পদের তালিকা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। সব মিলিয়ে দুই হাজার ক্যাডারের সুপারিশ করা হয়েছে।

পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ৪০তম বিসিএস নিয়ে কাজ করছি। এখন ৩৮তম ও ৩৯তম বিসিএসের পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে। ৮ থেকে ১৩ আগস্ট ৩৮ তম লিখিতের আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষা শেষ হলেই আমরা ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৪০তম বিসিএসেও লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দুজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। তাঁদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হবে। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হবে বলে মনে করছে পিএসসি।

এই বিসিএস থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলির ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আলাদা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন রাখা হবে। কেউ চাইলে ইংরেজিতেও এই বিসিএস দিতে পারবেন। সাত বিভাগের পাশাপাশি এবার নতুন বিভাগ ময়মনসিংহেও পরীক্ষা নেওয়া হবে।

/ এআর /