ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

মৌলভীবাজারের চার রাজাকারের ফাঁসি

প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৪২ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মৌলভীবাজারের রাজনগরের সাবেক মাদ্রাসার শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকারের প্রাণদণ্ড হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনানের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে চার রাজাকারের সাজা কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রায়ে।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। এছাড়া আরও একটি অভিযোগে চার জনের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আকমল আলী তালুকদার আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। অন্যরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির করা সম্ভব হয়নি। পলতক আসামিরা হলো- আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়, মো. আনিছ মিয়া ও মো. আব্দুল মোছাব্বির মিয়া।  

রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা দুটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগে চার আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য অভিযোগে সবাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালতের নথির তথ্য অনুযায়ী, ওই চার জন একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। তারা রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে রাজনগরের পাঁচগাও গ্রামে হত্যা-ধর্ষণ-লুল্ঠনসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটায়।

তাদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল ও লাল মিয়া সে সময় মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। আকমল ছিলেন পাঁচগাও ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সদস্যও ছিল।

মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, আবুল কালাম, শেখ মুশফেক কবীর। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হোসেন।

পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

নিয়মানুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলায় রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। তবে পলাতক আসামিকে সে সুযোগ নিতে হলে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে গত বছরের ৭ মে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

/ এআর /