ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মেধাবী তরুণরা পাচ্ছে ক্যারিয়ার গঠনের বিশেষ সুবিধা

শুরু হলো বাংলালিংক ইনোভেটর্স ২.০

প্রকাশিত : ০৮:২৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

 

শুরু হলো বাংলালিংক ইনোভেটর্স ২.০। উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিভাবান তরুণদের সফল পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের উদ্যোগে শুরু হয়েছে প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবসায়িক উদ্যোগের এই প্রতিযোগিতা।

এবারের প্রতিযোগিতা ‘বাংলালিংক ইনোভেটর্স’-এর দ্বিতীয় পর্ব। দেশের প্রতিভাবান তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে সহযোগিতা প্রদান ও তাদের সৃষ্টিশীল পরিকল্পনাকে উৎসাহিত করতে এই প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বাংলালিংক।

আজ মঙ্গলবার বাংলালিংক-এর প্রধান কার্যালয় ‘টাইগার্স ডেন’-এ অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিযোগিতা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনজুলা মোরশেদ, চিফ কর্পোরেট এ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিভাবান প্রতিযোগীদের বাছাই করে গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য আরও কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে "বাংলালিংক ইনোভেটর্স"। সুনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত বিজয়ী দল পাবে অ্যামেস্টারডমে অবস্থিত বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ। এছাড়াও বাংলালিংক-এর "স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম"-এর অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে যোগদানের সুযোগও থাকছে বিজয়ীদের জন্য।

সেরা তিনটি দল পাবে বাংলালিংক-এর "স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম"-এর অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে যোগদানের সুযোগসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া সেরা ৫ দলের প্রত্যেক সদস্য বাংলালিংক-এর অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম(এআইপি)-এ সরাসরি যোগদান করতে পারবে।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে   (https://ennovators.banglalink.net)। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। আজ থেকে শুরু হওয়া রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ হবে ২৫ আগস্ট, ২০১৮-তে।

দেশের ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোড শো ও ক্যাম্পাস ব্র্যান্ডিং আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে তরুণদের অবগত করা হবে।

এ বিষয়ে মনজুলা মোরশেদ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মেধাবী তরুণদের ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও অভিনবভাবে বাস্তব জীবনের নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করার প্রয়োজনীয় সামর্থ্য রয়েছে। দেশের একটি অন্যতম প্রধান ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে মেধাবী তরুণদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। বাংলালিংক ইনোভেটর্স মেধাবী তরুণদের মনে পরিকল্পনা, অভিনবত্ব ও সৃষ্টিশীলতার বীজ বপন করবে। বাংলালিংক-এ আমরা এমন একটি সহযোগিতামূলক কর্ম-সংস্কৃতি তৈরি করেছি যা বর্তমান প্রজন্মকে এর সাথে নিযুক্ত হয়ে তাদের সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে উদ্বুদ্ধ করবে।”

আর তাইমুর রহমান বলেন, “বাংলালিংক-এর মতো একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজেশনের ক্রমবিকাশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রতিটি পর্যায়ে উদ্ভাবনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি, তাতে মেধাবী তরুণদের অভিনব চিন্তাধারা নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমরা আশা করি। ভবিষ্যতেও আমরা তরুণদের মেধাকে যথাযথভাবে মূল্যায়িত করে তাদেরকে বাংলালিংক-এর যাত্রার অংশীদার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে চাই। আমাদের এই উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রেখে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।”

প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর প্রথম পর্ব আয়োজিত হয়েছিল।

//এস এইচ এস//