ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ব্যাংকের আমানত ভেঙে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে হিড়িক

প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ব্যাংকের তুলনায় সুদ বেশি হওয়ায় হিড়িক লেগেছে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে। প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো দিন বিক্রির পরিমাণ ১০ কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, জনগণকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করতে ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় আহরণের জন্য সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করলেও এখন তা চলে যাচ্ছে বিত্তবানদের দখলে। এ কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় দেখা যাচ্ছে সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি।

সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিলে সরকারি একটি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা যায়, শুধুমাত্র সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে অনেক গ্রাহক। সেখানে বিদেশ ফেরত এক বাংলাদেশি নাগরিক বলেন, এফডিআরের (স্থায়ী আমানত) সুদ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে এখন ৬ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। এই টাকায় এখন সংসার চলে না, তাই এফডিআর ভেঙে সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছি। আমানতের সুদহার কমার কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে আমার মতো মানুষ সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত চার বছর ধরে প্রতি বছর গড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা করে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে। স্থায়ী আমানতের সুদের হার এখন ৬ শতাংশ। বিভিন্ন মেয়াদে সঞ্চয়পত্রের জন্য ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। আর এ কারণে বেশি আমানতের আশায় প্রতিদিনই মানুষ সঞ্চয়পত্র কিনছে।

সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মাসুমা আক্তার বলেন, সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে সব সময় সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের ভিড় থাকে। তবে জুলাই মাসের শুরু থেকেই সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের ভিড় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর সহকারী পরিচালক ফরহাদ হাসান বলেন, সঞ্চয়পত্রের চাহিদা বাড়ার কারণে আমরা সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছি।

আরকে//