ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠান্ডাযুদ্ধ করতে যাচ্ছে চীন: সিআইএ

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ২২ জুলাই ২০১৮ রবিবার

যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে প্রধান পরাশক্তি হতে চায় চীন। দেশটি বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। গোয়েন্দা সংস্থাটি এও মনে করছে যে, বেইজিং ওয়াশিংটনের বিপক্ষে ঠান্ডাযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে।

সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার আসপেন সিকিউরিটি ফোরামে চীনের উত্থান নিয়ে একটি সেশনে বক্তব্যে এই অভিমত দেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ইস্ট এশিয়া মিশন সেন্টারের উপসহকারী পরিচালক কলিন্স।

তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি ‘স্নায়ু যুদ্ধ’ শুরু করতে যাচ্ছে।

তারা যা করছে এবং শি যা বলছেন তাতে আমি বলব, তারা আমাদের বিরুদ্ধে যেটা করতে চাইছে তা বাস্তবিক অর্থে একটি ঠান্ডাযুদ্ধ। আমরা আগে যে ঠান্ডাযুদ্ধ দেখেছি এটা তেমন নয়, প্রকৃত অর্থেই ঠান্ডাযুদ্ধ।

কোনো সংঘাত ছাড়াই প্রতিপক্ষের ভিত টলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের অবস্থান তৈরি করতে একটি দেশ বৈধ ও অবৈধ, সরকার ও বেসরকারি, অর্থনৈতিক ও সামরিক সব ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। চীনারা সংঘাত চায় না।

কলিন্সের মতে, তাদের স্বার্থের প্রশ্ন এলে দিন শেষে তারা চায় বিশ্বের প্রতিটি দেশ নীতি নির্ধারণী বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নয় চীনের পাশে থাকুক।

কারণ চীনারা ক্রমাগত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে যাচ্ছে এবং আমরা একে পদ্ধতিগত সংঘাত বলে চুপ করে বসে আছি।

কলিন্স বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের লেখার উল্লেখ করেন, যেখানে তার বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে। শির এই দর্শন সম্প্রতি চীনের সংবিধানেও অন্তুর্ভুক্ত হয়েছে।

মাইকেল কলিন্স বলেন, চীন যে হুমকি তৈরি করছে সেটাই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। 

তারা আমাদের সঙ্গে একটা প্রতিযোগিতা শুরু করেছে এবং সেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। রাশিয়া যেটা করতে পারত তার চেয়ে এরা অনেক বেশি করব।

ফোরামের তৃতীয় দিনে কলিন্সের এই বক্তব্য তার আগে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বক্তব্যেরই প্রতিফলন বলে সিএনএনের ভাষ্য।

তার আগে এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে এবং ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক ড্যান কোটসও যুক্তরাষ্ট্রের এখনকার সবচেয়ে বড় বিপদ হিসেবে চীনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন।

সূত্র : সিএনএন।

/ এআর /