ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

মোদিকে মনমোহন

আত্মপ্রচার নয়, দেশের ‍উন্নয়নের কথা ভাবুন

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৮ রবিবার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বলেছেন, শুধুই নিজের আত্মপ্রচার, আর অহঙ্কার না করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মোদি সরকার স্পষ্ট নীতি ঘোষণা করুক। তা কীভাবে কার্যকর হবে, সেটা জনগণকে তিনি জানাক।

রোববার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি(সিডব্লিউসি)’র বৈঠকে মনমোহন দেশের সামাজিক সংহতি নষ্ট করা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি স্তিমিত হয়ে পড়ার জন্য দায় চাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর সরকারের উপর।আর তার হাত থেকে দেশের মানুষকে রেহাই দেওয়ার জন্য কংগ্রেসে রাহুলের হাত শক্ত করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া আগামী বছর লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে পূর্ণ সমর্থনেরও আশ্বাস দিলেন।

 গত ডিসেম্বরে দলের সভাপতি হওয়ার পর নতুন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ দিন সভাপতিত্ব করেন রাহুল।লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেও যে কংগ্রেস মনোবল হারায়নি, এ দিন তা স্পষ্ট হয়ে যায় মনমোহনের বক্তব্যে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী মোদী আত্ম-প্রশংসা ও অহঙ্কারের যে সংস্কৃতি চালু করেছেন, তা আমি কিছুতেই মানতে পারি না।দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উনি স্পষ্ট নীতি ঘোষণা করুক।’

এ মাসে মনমোহন সরকারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।তিনি বলেছিলেন,‘‘অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী ও সবজান্তা অর্থমন্ত্রী (পড়ুন, মনমোহন সিংহ)-র জন্য দেশের অর্থনীতি যে অবিশ্বাস্যভাবে বেহাল দশা হয়েছিল, তার থেকে আমার সরকারকেই উদ্ধার করতে হয়েছে।’’

মনমোহন এই দিন তার জবাব দিতে গিয়ে মোদী সরকারের ‘ভুল নীতি প্রণয়ন’ ও ‘অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কড়া সমালোচনা করেন।

তাঁর বক্তব্য, এর ফলে গোটা দেশ অবশ্যম্ভাবী সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছে।ব্যাংক প্রতারণার একের পর এক ঘটনা নিয়েও মোদীর সমালোচনা করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।আর ৪ বছরের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে অঙ্গীকার করেছে মোদী সরকার,

সে সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করে মনমোহন বলেছেন,‘‘সেটা করতে হলে দেশের কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১৪ শতাংশে পৌঁছতে হবে।যা আদৌ সম্ভব নয়।তাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওই আশ্বাসকে ‘শূন্যগর্ভ’ বলতেও এই দিন দ্বিধা করেননি মনমোহন।

তাঁর আগে রাহুল বলেন, ‘‘কংগ্রেসই দেশের কণ্ঠ।বিজেপি যেভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দলিত, উপজাতি, সংখ্যালঘু ও গরিব মানুষদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে, তার হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর দায়িত্ব কংগ্রেসেরই।’

সুত্রঃ আনন্দবাজার

কেআই/ এআর