ঢাকা, সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪,   আষাঢ় ৩ ১৪৩১

মমি তৈরির কারখানা

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মাটি খুঁড়ে মমি আবিষ্কার নতুন নয়। তবে এবার আবিষ্কৃত হল মমি তৈরির কারখানা। বয়স অন্তত ২৫০০ বছর। মৃতদেহকে প্রাচীন মিসরীয়দের মমিতে রূপান্তরের রহস্য এখনও অজানা। হাজার হাজার বছর ধরে টিকে থাকা এসব মমি তৈরিতে কী উপাদান ব্যবহার করা হতো তা পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এবার হয়তো সেই রহস্যের জট খুলতে শুরু করবে।

সম্প্রতি মিসর ও জার্মানির পুরাতাত্ত্বিকরা মাটির ৩০ মিটার নিচে পুরনো একটি মমি তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছেন। যেখানে পাওয়া গেছে, অনেক মমিও। খননকার্য চালানো হয়েছিল মিশরের কায়রো শহরের দক্ষিণে মেম্ফিসের সাক্কারা সমাধিক্ষেত্রে। প্রত্নতাত্বিক ওই ক্ষেত্রে খননে উঠে এসেছে পাথরের বিভিন্ন মূর্তি এবং বাসনপত্র। কায়রোর আগে এই মেম্ফিসই ছিল প্রাচীন মিশরের রাজধানী।

মমি তৈরির এই কারখানাটি খ্রিষ্টপূর্ব ৬৬৪ থেকে ৪০৪ অব্দের মধ্যে তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরাতাত্ত্বিকরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ ওই ঘরটিতে সম্ভবত মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহার করা রাসায়নিক তৈরি হতো। সেখানে অন্তত ৩৫টি মমি পাওয়া গেছে। এছাড়া মিলেছে বড় বড় পাত্র, জার ও পাথরের বেশকিছু মূর্তি। আশা করা হচ্ছে, এই ঘরে পাওয়া জিনিসগুলো পরীক্ষার-নিরীক্ষার পর মমি তৈরিতে ব্যবহার হওয়া রাসায়নিক সম্পর্কে জানা যাবে। এতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।

সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

একে//