জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা: ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট
প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
চার্জশিট দাখিলের কথা জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্তরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৮, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগপত্রে ফয়জুর ওরফে ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুরকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফয়জুর `স্বপ্রণোদিত` হয়ে ড. জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালায় বলে তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ৬ জন হলেন- ছুরি নিয়ে হামলাকারী প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান ফয়েজ, তার বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান ও মা মোছাম্মৎ মিনারা বেগম, মামা মো. ফজলুর রহমান, ফয়েজের ভাই এনামুল হাসান এবং ফয়েজের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়া। এরা সবাই আটক আছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেছেন, মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান নিজেই জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ৩-৪ মাস থেকেই সে জাফর ইকবালকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছে ফয়জুল।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে ড. জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টায় ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুর। পরে তাকে তাৎক্ষণিক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ১৪ মার্চ তিনি সিলেটে ফেরেন। এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। এতে ফয়জুরকে প্রধান আসামি করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত ৮ মার্চ ফয়জুরকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ফয়জুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পাশাপাশি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ফয়জুলের বাবা, মা, ভাই, মামা ও বন্ধু রিমান্ড শেষে আদালতে পৃথক জবানবন্দি দেন।
একে//