ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ১০ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১২:০৬ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮ রবিবার

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪০ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা উপড়ে পড়ে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৭টার দিকে দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লোম্বকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্টের ৭ কিলোমিটার গভীরে।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ৩ লাখ ১৯ হাজার মানুষের বসবাসের শহর মাতারাম থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পটি বেশি অনুভূত হয়।

জানা গেছে, প্রথম বড় ভূমিকম্পের পর দ্বিতীয় ধাপে আরও দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এ দুটির মাত্রা ছিল ৫-এর ওপরে। এরপর ৫০টির বেশি পরাঘাত হয়। পূর্ব লামবাক ও মাতারাম শহরের ভূমিকম্পটির স্থায়িত্ব ছিল ২০-৩০ সেকেন্ড।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ভবনধসের বিপদ এড়াতে মানুষ রাস্তা ও খালি মাঠে জড়ো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

উল্লেখ্য, হাজারো দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে থাকা সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর অর্ধেকেরও বেশি প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত রিং অব ফায়ারের মধ্যে অবস্থিত। দুই বছর আগেও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়, ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বাড়ি-ঘর হারান।  ২০০৪ সালে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রতলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের পাশে থাকা দেশগুলোতে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ।

সূত্র: রয়টার্স

একে//