ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

হঠাৎ বাস সংকট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত : ০৯:২৫ এএম, ১ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় নৌমন্ত্রী নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ ও ঘাতক বাসচালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবির জেরে রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন এবং যানবাহন ভাঙচুরের কারণে রাস্তা থেকে বাস সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ, কলবাগান, সায়েন্সল্যাব, মিরপুর, শ্যামলী, মহাখালী, বিজয় সরণি, উত্তরা, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসের অপেক্ষায় শত শত মানুষ অপেক্ষা করছে। তবে মিলছে না কোনো বাস। আবার যাও দুয়েকটা বাস আসছে, তার সবগুলোই সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা রাখছে বন্ধ। এতে যাত্রীরা বাসে উঠতে পারছেন না।


সকালে অফিসমুখী যাত্রী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে ও রিকশায় যেতে হচ্ছে। রাজপথের সড়ক ছিল ফাঁকা। তবে দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলাচল করতে দেখা গেছে। গত রোববার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর বিমানবন্দর সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেছিল শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার তাদের পাশাপাশি ধানমণ্ডিতে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা মতিঝিল শাপলা চত্বরসহ যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তরা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ২০টি পয়েন্ট অবরোধ করে। এতে ভাঙচুর হয় কিছু গাড়ি। ‘আমার ভাই মরল কেন, বিচার চাই বিচার চাই’, ‘আমার বোন মরল কেন, নৌমন্ত্রী জবাব চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায় নিরাপদ সড়ক চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে তারা রাজপথ মুখরিত করে রাখে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ডিসি প্রবীর কুমার রায় যুগান্তরকে বলেন, উত্তরায় শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। বিকালে সড়ক ছেড়ে দিলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। উত্তরায় শিক্ষার্থীরা দুটি বাসে অগ্নিসংযোগও করেছে।

এমজে/