ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

জিম্বাবুয়েতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৩, জাতিসংঘের উদ্বেগ

প্রকাশিত : ১০:২৪ এএম, ২ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

জিম্বাবুয়েতে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী।

জানা গেছে, রাজধানী হারারেতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সেনাবাহিনী গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ডজন খানেকেরও বেশি মানুষ। এরই মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সহায়তা করতে হারারের কেন্দ্রস্থলে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের গুলির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী জোট এমডিসি। পুলিশে ও সেনাবাহিনীর যৌথ হামলাকে রবার্ট মুগাবের সময়কার ‘অন্ধকার দিন’র সঙ্গে তুলনা করেছেন তারা।

গতকাল দেশটির জাতীয় নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নির্বাচনে সেনা সমর্থিত জানুপিএফ পার্টিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে দেশটির নগরগুলোতে ব্যাপক ব্যাবধানে হারে জানু পিএফ পার্টি। নির্বাচনে কারচুপি, ভোট ডাকাতি ও সেনা হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে বিরোধী দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জ গতকাল থেকেই আন্দোলন শুরু করে।

এদিকে সব আসনের ফল এখনও পর্যন্ত ঘোষণা না করা হলেও, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাওয়া ও তার দল জানুপিএফ পার্টি-ই যে ক্ষমতার মসনদে বসতে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এর আগে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে বার্তা দিয়েছিলেন বিরোধীদলের প্রধান প্রার্থী চ্যামিশা।

এদিকে জিম্বাবুয়েতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও ব্রিটেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেস জিম্বাবুয়ের সব দলকে সহিংসতা পরিহারের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হারিয়েট বাডিন বলেন, জিম্বাবুয়েতে সহিংসতার ঘটনায় ব্রিটেন মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন।

এদিকে হারারেতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনীকে বলপ্রয়োগ বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেনাবাহিনীর বল প্রয়োগের বিয়ষটি খতিয়ে দেখতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

এমজে/