ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের হাজার বছরের রহস্য ভেদ!

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ৪ আগস্ট ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১০:০৯ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

রহস্য ঘেরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। মানুষের বিশ্বাস এটি এমন এক জায়গা, যেখানে একবার প্রবেশ করলে বের হওয়ার বা কোনো তথ্য বের করে আনার সুযোগ থাকে না। তবে সেই রহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে দাবি উঠেছে।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের সবচেয়ে বড় চরিত্র হচ্ছে এটি মুহূর্তেই ভয়াহ হয়ে উঠে। আর এর মধ্যে পড়ে নৌযান ও আকাশযানের বহু যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এই রহস্যঘেরা স্থানে কত মানুষের যে প্রাণ গেছে তার যথাযথ কোনো পরিসংখ্যান নেই।

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, ওই অঞ্চলে অসংখ্য দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তারা সক্ষম হয়েছেন। তারা বলছেন, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে অনেকটা ভৌতিকভাবে জাহাজ অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার বড় কারণ প্রকৃতির খামখেয়ালি।

মূলত ঝড়ের কবলে পড়ে এবং দৈত্যাকার ঢেউয়ের মধ্যেই হারিয়ে যায় এসব উড়োজাহাজ ও জাহাজ।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের একটি দল বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য উদ্ঘাটনে দীর্ঘদিন ওই অঞ্চলে গবেষণা করেন। তাদের ধারণা, এখানকার কোনো কোনো ঢেউ ১০০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ফলে কোনো জাহাজ এই ঢেউয়ের মুখে পড়লে কোনোভাবেই রক্ষা পাওয়ার উপায় থাকে না।

গবেষণার অংশ হিসেবে ১৯১৮ সালে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে নিখোঁজ হওয়া ৫৪২ ফুট লম্বা কয়লাবাহী ইউএসএস সাইক্লোপস জাহাজের একটি মডেল তৈরি করা হয়। এরপর বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতো সৃষ্টি করা হয় কৃত্রিম ঢেউ। সেই ঢেউয়ের মাঝে মডেল জাহাজটিকে ফেলে দেখা যায় তা ডুবে গেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের সমুদ্র ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. সিমোন বোক্সাল বলেন, ওই ত্রিভুজাকৃতির অঞ্চলটিতে মূলত বারমুডা, ফ্লোরিডা ও পুয়ের্তো রিকোর প্রত্যেকটি দিক থেকে আসা স্রোত এক জায়গায় মিলিত হয়ে বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি করে।

এর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে ঝড় এলে ঢেউগুলো আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। আর তাতে পড়েই অতীতে সেখানে অসংখ্য প্রাণ ও সম্পদহানি হয়েছে।

মূলত পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে একপাশে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, অন্যদিকে বারমুডা আর সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো নিয়ে ত্রিভুজাকৃতির এ অঞ্চলকেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এটিকে শয়তানের ত্রিভুজও বলা হয়।

সূত্র : লাইভ সায়েন্স ও ফক্স নিউজ।

/ এআর /