চকলেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রলীগ, ক্লাসে ফেরার আহ্বান
প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৪:৫৬ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৮ শনিবার
এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করল ছাত্রলীগ। নিরাপদ সড়কের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের হাতে চকলেট তুলে দেয় সংগঠনের নেতারা। সেই সঙ্গে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর কোনো ধরনের হামলা করা হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। এসময় তাদের হাতে ছিল চকলেট।
তারা শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার এই দাবিগুলো পূরণে কাজ করছেন।
সঞ্জিত বলেন, প্রধানমন্ত্রী তোমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। তোমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
চকলেটের বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা চিপস তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের হাতে।
এসময় মিরপুর ও জিগাতলা এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের নাম উঠে আসায় ক্ষোভ জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তখন সঞ্জিত বলেন, আমরা বললাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রলীগকর্মী যদি আপনাদের উপর কোনো আঘাত হানে, তবে আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেখিয়ে দেব।
ফার্মগেট এলাকায়ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রলীগকে দেখা গেছে। তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী খলিকুর রহমান বলেন, দলের নির্দেশে আমরা সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেয়া প্রধান সড়কগুলো মনিটরিং করছি। আমরা তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। সরকার তাদের আন্দোলন মেনে নিয়েছে- আমরা সেটি বুঝিয়ে বলছি। আমাদের কথা শুনে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ফার্মগেট এলাকায় আমাদের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী রয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। আমরা সকলে মিলে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করে তাদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলছি। কেউ বুঝতে না চাইলে তাকে ভালো করে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা হাসাপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন। এছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।
এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থীরা। সড়কে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা লাইসেন্সও চেক করে। বিভিন্ন স্থানে বাস ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।
৯ দফা দাবি আদায়ে টানা সপ্তম দিনের মতো আজ শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থান নেয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে করে রাজধানীতে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
/ এআর /