ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

রাগিব আলী ও তার ছেলের সাজা বহাল 

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:১১ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

আপিলেও রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই এর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া ১৪ বছরের সাজা বহাল রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার আপিল শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়। সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ আদেশ দেন।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী এ সম্পর্কে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি করে তারাপুর চা বাগান দখলের মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের তৎকালীন বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো ১৪ বছরের সাজা দেন। সেই সাজার বিরুদ্ধে রাগিব আলী সিলেট বিশেষ দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। কয়েক দফা আপিল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল রাখা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, তারাপুর চা-বাগানের ভূমি আত্মসাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো। রায়ে রাগীব আলী ও তার ছেলেকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই সময় আদালত এ মামলার রায়কে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রায় অভিহিত করে বলেন, ‘রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই শুধু সিলেট নয়, দেশের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ ধরনের প্রভাবশালী ব্যক্তি কীভাবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি জালিয়াতি করে এবং মানবিকতার মুখোশ পরে জনসম্পদ আত্মসাৎ করছে তার উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত এটি। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এছাড়া আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাগীব আলীর পক্ষে তার মালিকানাধীন চা-বাগানের দুজন ব্যবস্থাপকও সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট এটিএম মাসুদ টিপু ও অ্যাডভোকেট মঈনুল ইসলাম প্রমুখ।

এসি