ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আগস্ট মাসে যত ষড়যন্ত্র: মতিয়া চৌধুরী

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১০:০০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার

দেশে যত ধরণের ষড়যন্ত্র হয় তা ঘুরেফিরে আগস্ট মাসেই হয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘ষড়যন্ত্র যুগে যুগে’ নামক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু থেকে ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন পর্যন্ত যত ষড়যন্ত্র হয়েছে তা আগস্ট মাসেই প্রকাশ পেয়েছে। যদিও ষড়যন্ত্রের চিন্তাভাবনা অন্য সময় হয়। কিন্তু তা প্রকাশ পায় আগস্টেই।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ যখনই অর্থনীতিতে ওপরের দিকে উঠতে থাকে ঠিক তখনই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে চেপে ধরে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সালে যখন সবে মাত্র বাংলাদেশ অর্থনীতিতে স্বচ্ছ হতে শুরু করেছে ঠিক তখনই রোহিঙ্গা দ্বারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঢাবিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

পাকিস্তান ও মায়ানমার উভয় দেশই ড্রাগ দ্বারা আক্রান্ত। আর রোহিঙ্গা দ্বারা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ড্রাগ ছড়িয়ে দেওয়াও একটা ষড়যন্ত্র করা হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা কখনই বসে থাকে না, তারা সব সময়ই অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় থাকে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ রচনা করেন কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। 

তারেক রহমানকে নিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, যেই ছেলের কাছে নিজের পিতার জন্য কোনো মায়া নেই তার কাছে দেশের জন্য কি মায়া থাকবে। মেজর জিয়া মারা যাওয়ার পর তার লাশ ঢাকায় আনা হয়েছিল।  তখন তারেক নিজের পিতার লাশের মুখটা পর্যন্ত দেখে নাই।

তিনি আরও বলেন, অথচ দেখুন প্রধানমন্ত্রী যে কোনো কাজ শুরু করার আগে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের কবরের কাছে যেয়ে দোয়া চেয়ে কাজ শুরু করেন। একেই বলে আদর্শ বাবার আদর্শ সন্তান।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ষড়যন্ত্র লেগেই আছে। ষড় যন্ত্র যুগে যুগে। এর শেষ নেই। এটি থাকবেই। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরেদ মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ এদেশে রাজাকারের কোন ছেলে যেন চাকরি না পায়।

 

 

এমএইচ/ এসএইচ/