ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

[ভিডিও]

নিজেদের উদ্যোগেই বাল্য বিয়ে  বন্ধ করছে ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়েরা

প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিয়ে দেওয়া হতো অল্পবয়সী মেয়েদের। অভিভাবকের চাপে মেয়েরা বাধ্য হতো বিয়ের পিড়িতে বসতে।

কিন্তু এখন সেই দৃশ্যপট ভিন্ন, বেড়েছে সচেতনতা। নিজেদের বাল্য বিয়ে  ঠেকাতে প্রশাসনের সহায়তা নিচ্ছে মেয়েরা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০০৯, ১০ ও ১১ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শতকরা ৫৫ ভাগ মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার আগেই ঝরে পড়তো। তাদের অধিকাংশই বাল্য বিয়ের শিকার।

দরিদ্রতা, যৌতুক এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে কন্যা সন্তানকে বিয়ে দিতেন অভিভাবকরা। আর অল্প বয়সেই সন্তানের মা হওয়ায় জটিল রোগে আক্রান্ত হতো এসব মেয়ে। পাশাপাশি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটতো অহরহ।

এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মান্নান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে একটি উদ্ভাবনী ধারণা পাঠান। সেই ধারণা থেকেই ২০১৬ সালে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে স্টুডেন্টস ডাটা বেজ ও সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়।

এখন অভিভাবকরা তাদের স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করলেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে এসব মেয়ে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, ব্যাপক প্রচারনায় গ্রামাঞ্চলে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৬২টি স্কুল ও মাদ্রাসার ১৭ হাজার শিক্ষার্থীকে স্টুডেন্ট ডাটা বেজের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া কাজী ও নিকাহ রেজিস্ট্রার এবং পুরোহিতদের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় গঠন করা হয়েছে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটি।  

একে//