ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

সন্তানের বয়স ছয় পেরোলে নজর দিন ৭ বিষয়ে

প্রকাশিত : ১০:৫৫ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার

দিনভর শুধু বইয়ে মুখ গুঁজে থাকাই নয়, বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শিশুকেই কিছু শিষ্টাচার ও মূল্যবোধে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হয়। চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠনে যা অত্যন্ত কার্যকর। বয়স ছয় পেরোলেই তার মধ্যে কিছু শিষ্টাচারের প্রকাশ দেখতে পাওয়া জরুরি। দেখে নিন সে সব কী কী।

১. কথায় বলে ‘চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম।’ আসলে শিষ্টাচারও তেমনই। তাই বছর ছয়েক বয়সের পর থেকেই বিশেষ নজর দিন সন্তানের মানসিক বিকাশের উপর। থ্যাঙ্ক ইউ, সরি, প্লিজ- এই ছোট ছোট ইংরাজি শব্দগুলো বা এর বাংলা প্রতিশব্দ ঠিক ক্ষেত্রে ও দরকারি অভিব্যক্তিসহ প্রয়োগ করছে কি-না তা লক্ষ করুন। এতে শিশু বিনয়ী হতে শেখে।

২. সন্তানের আচরণের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়, তার চারপাশের সঙ্গ বিরাট প্রভাব ফেলে। এ সব জায়গা থেকেই যেমন সে ভাল হওয়ার রসদ পায়, তেমন এখান থেকেই সে শেখে ক্ষতিকর কিছু অভ্যাস। তাই সতর্ক হোন। সন্তানের মুখে কুবাক্য শুনলে তাকে বুঝিয়ে নিরস্ত করুন। যেখান থেকে সে এমন কথা শিখল, তা জেনে সেই সঙ্গ থেকে দূরে রাখুন।

৩. হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, খাবার চিবনোর সময় মুখ বন্ধ করে চিবনো, খেতে খেতে কথা না বলা এই স্বাস্থ্যকর আচরণগুলোও শেখার বয়স ছয় থেকে সাত। কাজেই নজর রাখুন এ সব দিকেও।

৪. সন্তানের মধ্যে পরোপকারের প্রবণতা আছে তো? টিফিন হোক বা বই-খাতা, বন্ধুর প্রয়োজনে সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কি-না সে দিকে খেয়াল রাখুন। তাকে ছোট থেকেই শেখান এ সব। এতে আধুনিক ইঁদুর দৌড়ে পড়াশোনা ও বন্ধুত্বকে সে কখনওই অসুস্থ প্রতিযোগিতার স্তরে নিয়ে যাবে না।

৫. অন্যের বিপদের সময় পরিহাস করা বা তার সমস্যা নিয়ে হাসাহাসি করার প্রবণতা অনেক সময় এই বয়স থেকেই দেখা যায়। এটি মূলত সঙ্গদোষেই হয়ে থাকে। সন্তানের এ সব অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত বর্জন করতে শেখান। দরকারে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন ওর দৃষ্টান্ত।

৬. বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় থেকেই শিশুর মধ্যে নালিশ করা, ঝগড়া-মারামারির একটি অভ্যাস তৈরি হতে দেখা যায়। তেমন হলে ওর সঙ্গে কথা বলুন। ওর সমস্যাগুলোকে অন্যভাবে মেটাতে সাহায্য করুন। কোনওভাবেই কাজ না হলে, প্রয়োজনে মনোস্তত্ত্ববিদের সাহায্য নিতে পারেন।

৭. বড়দের কথার মাঝে মন্তব্য করা, বা বড়দের আলোচনার মধ্যে অংশ নেওয়ার অভ্যাস থাকলে তা থেকে তাকে সরতে শেখান। এটি খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শিশুর মনেও। এই অভ্যাস সরলে শিশু অকালপক্ব হয় না, শিশুসুলভ আচরণের মাধ্যমে সে তার শৈশব উপভোগ করতে পারে।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//