ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কম শর্করায় আয়ু হ্রাস পায়

প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১০:৪৪ এএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮ রবিবার

দিন যত যাচ্ছে মানুষের সচেতনতা ততই বাড়ছে। একটা সময় শর্করা জাতীয় খাবার মানুষ বেশি গ্রহণ করতো। পরবর্তীতে জানা গেল, শর্করায় ওজন বাড়ে, শরীরে বাসা বাধে রোগ। এর ফলে ওজন কমানো কিংবা রোগের ঝুঁকি কমাতে শর্করা জাতীয় খাবার কমিয়ে দেয় মানুষ।

তবে সম্প্রতি জানা গেল ভিন্ন তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক বলেছেন, শর্করা কম গ্রহণ করলে মানুষের আয়ু চার বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সম্প্রতি চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথে এসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত হয়েছে। প্রায় ২৫ বছর ধরে চলা এ গবেষণায় বলা হয়, পরিমিত শর্করা খাওয়া মানবদেহের জন্য স্বাস্থ্যকর। যারা শর্করা জাতীয় খাবার থেকে ৫০-৫৫ শতাংশ শক্তি গ্রহণ করে, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি তুলনামূলক কম।

অন্যদিকে যারা কম কিংবা উচ্চমাত্রার শর্করা গ্রহণ করে তাদের মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কারণ অনেকেই শর্করা জাতীয় খাবার খুব কম খাওয়ার কারণে মনের অগোচরে প্রাণিজ প্রোটিন ও চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে।

আর প্রোটিন ও চর্বির জন্য প্রাণিজ খাবারের চেয়ে শর্করা জাতীয় খাবার কিংবা উদ্ভিজ প্রোটিন ও চর্বি তুলনামূলক ভালো। তাছাড়া গরুর মাংস, মেষের মাংস, শূকরের মাংস, মুরগির মাংস এবং পনির খেলে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।

 

সাধারণত সবজি, ফল ও চিনিকে শর্করা জাতীয় খাবার ধরা হয়। তবে স্টার্চযুক্ত খাবার যেমন—আলু, রুটি, পাস্তায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী, বয়স ৫০ বছর হলে আরো ৩৩ বছর বাঁচার জন্য পরিমিত পরিমাণে শর্করা গ্রহণ করতে হবে।

গবেষণাপ্রধান ড. সারা সেইডেলম্যান বলেন, ‘ওজন কমানোর জন্য কম শর্করার খাবার এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাতে আয়ু কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এ কারণে বিভিন্ন মাংসের পরিবর্তে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো।’

সূত্র : বিবিসি।

/ এআর /