ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পার্বত্য এলাকায় টার্কি পালনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১:১৬ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৬:১৩ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রাঙামাটি নানিয়ারচরের পিয়াল চাকমা। উচ্চ শিক্ষা লাভের পরও বেকার ছিলেন। পরবর্তীতে টার্কি পালন করে হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী। এখন তার পথ অনুসরণ করছেন অনেকেই। পার্বত্য এলাকায় প্রচুর অনাবাদি জমি থাকায় স্বল্প পুঁজিতে টার্কি পালনে ব্যাপক সম্ভাবনার কথা জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেও বেকার ছিলেন পিয়াল চাকমা। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গাজীপুরের এক বন্ধুর কাছ থেকে মাত্র তিনটি টার্কি নিয়ে নানিয়ারচরের টিএন্ডটি বাজার এলাকায় নিজের বাড়িতে পালন শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

বর্তমানে তার খামারে সাড়ে ৫শ’র বেশি টার্কি রয়েছে। বয়স অনুযায়ী প্রতি জোড়া টার্কি ১২শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তুলনামূলক রোগ-বালাই কম হওয়ায় টার্কি পালনে লাভবান হওয়া যায় বেশি। পিয়ালের খামারে আছে অর্ধশতাধিক তিতির পাখিও।

পিয়ালের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অনেক বেকার যুবক শুরু করেছেন টার্কি পালন। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনার কথা জানান তারা।

পার্বত্যাঞ্চলের অনাবাদি জমিতে কম পরিশ্রম আর স্বল্প পুঁজিতে টার্কি পালন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে বলে জানান এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

২০১০-১১ সাল থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি পালন শুরু হলেও রাঙামাটিতে শুরু হয় ২০১৫-১৬-তে।