ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

নগরমুখী স্রোত শুরু

প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৮ শনিবার

ট্রেনের ছাদে চড়ে, বাসে ঝুলে কিংবা লঞ্চে ঠাসাঠাসি করে ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার পর এবার স্রোত নগরমুখী। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি আজ শনিবার-ই শেষ হচ্ছে। কালকের সকালটা হয়ে উঠবে কর্মমুখর। আর তাই চিরচেনা সেই নগরীর পুরনো রূপ ফিরিয়ে দিতে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।

আজ বেলা ১১ টার দিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে এসে দাঁড়ায় সিলেট থেকে আসা আন্ত:নগর ট্রেন। এ ট্রেন থেকে লাগেজ টানতে টানতে বেরিয়ে আসেন তানিয়া মেহনাজ। তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী। প্রিয়জনদের সঙ্গে সিলেটে গ্রামের বাড়িতে ঈদের চারদিন ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরলেন আজ।

তিনি বলেন, স্বজনদের ছেড়ে আসা খুবই বেদনার। কারণ উৎসব পার্বন ছাড়া বাড়িতে খুব একটা যাওয়া হয় না। ঈদে বাড়ি ফেরা থেকেই আনন্দ শুরু হয়ে যায়। কিন্তু প্রিয়জনদের ছেড়ে যখন ফিরে আসতে হয় তখনই শুরু হয় কষ্ট। তবুও জীবিকার তাগিদে ফিরে আসতে হয়। তানিয়া কাল রোববার থেকে কাজে যোগ দেবেন বলে জানান।

একই ট্রেনের আরেক যাত্রী সবুজ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি বলেন, বাড়িতে গেলে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু জীবিকার কারণে বাধ্য হয়েই ফিরতে হয়। রোববার থেকে আবার শুরু যান্ত্রিক জীবন। দুই ছেলেমেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে সুনামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানকার সবুজ আর খোলা পরিবেশে মাঠ, আর দাদা-দাদিদের ছেড়ে মেয়ে আসতেই চাইছিল না। কারণ ইট পাথরের যান্ত্রিক শহরে তো এসব পায় না ওরা। তবুও ফিরতে হয়।

বিমানবন্দর স্টেশনে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় যেমন যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ ছিল, ফিরে আসার সময় তেমন চাপ নেই। যাত্রীরা ঈদ আনন্দ শেষে ভোগান্তি ছাড়াই ফিরছেন রাজধানীতে।

বিকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে নগরীতে ফেরা যাত্রীদের জটলা। এসময় কিছুটা ভিড় দেখা গেছে স্টেশনে। সন্ধ্যার পর কাল সকাল পর‌্যন্ত বেশ ভিড় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সড়ক পথে গত তিন দিনের মতো আজও ছিল ফাঁকা। যাত্রীবাহী বাসগুলো ছিল ফাঁকা। ব্যাক্তিগত গাড়িও ছিল কম।

/ এআর /