ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

হার্টের সমস্যা দূর করতে কার্যকরি ৬ টিপস  

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৪ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

হার্ট শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। সবাই চায় হার্টকে সুস্থ রাখতে। কিন্তু কিছু খারাপ খাদ্যাভ্যাস হার্টকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে।  

তাই হার্টের সমস্যার ব্যপারে সকলে কমবেশী চিন্তিত। তবে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই রোগকে দূরে রাখা সম্ভব।

অনেকেরই ধারণা এক্সারসাইজ এবং হেলদি ডায়েটের মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব। তবে একথা পুরোপুরি ঠিক নয়। এই দুটো টিপস ছাড়াও আরো অনেক কিছু করা প্রয়োজন।  

আসুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট সুস্থ রাখার গুরুত্বপূর্ণ ছয় টিপস।

১) ধূমপান ত্যাগ করুন  

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এটা আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু তা মেনে চলি না। তবে হার্ট যদি সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।

২) যৌন কার্যকলাপ বজায় রাখুন

হার্টের জন্য সেক্স উপকারী। শরীর সতেজ রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল যৌন কার্যকলাপ বজায় রাখা। এর ফলে শরীর থেকে প্রচুর হরমোন নিঃসৃত হয়। ফলে স্ট্রেস কমে।

৩) লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন 

দৈনিক লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। খাদ্যে লবণের পরিমাণ বেশী থাকলে হাইপারটেনশন এবং হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। লবণের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি আপনার জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত।  

৪) ডার্ক চকোলেট  

ডার্ক চকোলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে ডার্ক চকোলেট কীভাবে খেলে হার্ট সুস্থ থাকে আপনার তা অবশ্যই জানা উচিত। রাতে খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো ডার্ক চকোলেট আপনাকে তৃপ্তি দেওয়ার পাশাপাশি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৫) লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন  

লিফট এবং এস্ক্যালেটরের যুগে আমরা সিঁড়ির ব্যবহার ভুলতে বসেছি। কিন্তু এইভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। আপনার রোজকার ওয়ার্কআউট রুটিনে সিঁড়ির ব্যবহার যোগ করুন। সুস্থ থাকুন।   

৬) মুখের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন

মুখের স্বাস্থ্য আপনার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য কেমন তার নির্দেশক। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হলে তা হার্টের খারাপ স্বাস্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আপনার দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ রাখতে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন এবং দাঁত পরিষ্কার রাখুন। আপনার দাঁতে সমস্যা দেখা দিলে তা ক্যাভিটি ছাড়া অন্য রোগেরও নির্দেশক হতে পারে।  

এমএইচ/এসি