1. প্রচ্ছদ
2. জাতীয়

বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ রোববার খুলেছে সরকারি অফিস-ব্যাংকগুলো। তবে প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয়সহ অন্যান্য সরকারি দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। যারা কাজে যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। সময় কাটছে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময়ের মধ্য দিয়ে।

আজ সকালে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অফিসে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কেউ কেউ কোলাকুলি ও করমর্দন করেন। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক কক্ষে জড়ো হয়ে পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে।

 

সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট-সর্বত্রই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। একে অপরকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, উঁচু-নিচুর। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, ঈদের পর প্রথম অফিসই সচিবালয়ে ঈদের দিন।

গত বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। এবার ঈদে ২১, ২২ ও ২৩ আগস্ট ছুটি ছিল। এরপর ২৪ ও ২৫ আগস্ট (শুক্র ও শনিবার) ছিল সপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই টানা পাঁচদিন ছুটি পায় সরকারি চাকুরেরা।

নির্বাচন সামনে রেখে এবার বেশির ভাগ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী তাদের নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করেছেন বলে জানা গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সচিবালয়ে উপস্থিত হয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পৌনে ১০টার দিকে সচিবালয়ে উপস্থিত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনিও নিজ দফতরে এসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সচিবালয়ে নিজ দফতরে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি মিষ্টিমুখ করান উপস্থিত সবাইকে।

প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে উপস্থিত হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বলে জানা গেছে।

সচিবালয়ে বেশিরভাগ অফিসেই তুলনামূলক কম উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকার বাইরের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী ঈদের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে দু’ একদিন বেশি ছুটি নিয়েছেন। তারা এখনও ঢাকা এসে পৌছান নি।

কাউকে কাউকে দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে ফিরে কিছুটা দেরিতে অফিসে যোগ দিতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে উপস্থিতি সাধারণত কম থাকে।

ঢাকার সরকারি অফিসগুলোর অনেক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যারা এসেছেন কাজে-কর্মে ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূলত পারস্পরিক খোঁজখবর ও শুভেচ্ছা বিনিময়েই ব্যস্ত ছিলেন। সচিবালয়ে দর্শনার্থীও খুব কম। সচিবালয়ে ভবনগুলোর করিডোর ও লিফটগুলোর সামনে ভিড় নেই।

/ এআর /