ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

শিশুর পেটে মিলল ২০৩ কুলের আঁটি, নাটবল্টু

প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:৪৩ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

চার বছরের শিশুর পেটে মিলল ২০৩ টি কুলের শক্ত আটি। পাওয়া গেল ধাতব নাটবল্টুও। গতকাল শনিবার সকালে ভারতের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে শিশুটির অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা এ তথ্য জানান।

হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের বরাত দিয়ে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, এর আগে অস্ত্রোপচার করে পেটে মাটি-চুল পাওয়া গেছে। কিন্তু এতগুলো কুলের আঁটি পাওয়াটা অস্বাভাবিক। কয়েক মাস আগে এই হাসপাতালেই এক যুবকের পেট থেকে জমাট বাঁধা সিমেন্ট বের করেছিলেন চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট চার বছরের ছেলে জীবনকে নিয়ে বর্ধমান মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসে হাজির হন হুগলি জেলার গোঘাট থানার শ্যামবাজারের বাসিন্দা অজয় রুইদাস ও কল্পনা রুইদাস। পেশায় খেতমজুর ওই দম্পতি জানান, এক বছর ধরে পেটে ব্যথা কমছেই না ছেলের। এতদিন গ্যাস-অম্বলের ব্যথা মনে করে নানা রকম ওষুধ খাইয়েছেন তারা। নিয়ে গিয়েছেন হাসপাতালে। কিন্তু তাতেও রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকেরা।

দম্পতির দাবি, মাস দুয়েক আগে ফের চিকিৎসকের কাছে গেলে, তারা জানান জীবনের ডান দিকে পেটের নিচে কিছু রয়েছে। জায়গাটি ফুলে রয়েছে। হাত দিলে ভেতরে শক্ত কিছু আছে বোঝা যাচ্ছে। ওই চিকিৎসকেরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শিশু বিভাগে চিকিৎসা করানোর পরেই ওই দম্পতিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অস্ত্রোপচার করে পেটের ভিতর থাকা দ্রব্য বের করতে হবে। ভর্তি করিয়ে নেয়া হয় শিশুটিকে। এদিন প্রায় একঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে শিশুটির পেট থেকে কুলের আঁটি ছাড়াও ধাতব বল্টু, খেজুরের আঁটি ও বেশ কিছুটা সুতা পান চিকিৎসকেরা।

ওই দলে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় বলেন, বড়দের ক্ষেত্রে এই অস্ত্রোপচার খুবই সাধারণ। কিন্তু চার বছরের শিশুর ক্ষেত্রে তা জটিল হয়ে দাঁড়ায়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্ষুদ্রান্তের শেষে আর বৃহদান্ত্রের শুরুর মুখে কুলের আঁটিগুলো আটকে ছিল।

কিন্তু এতগুলো কুলের আঁটি পেটে গেল কীভাবে- এর উত্তরে শিশুটির বাবা-মা বলেন, আমরা কাজের জন্য সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম। দশ বছরের মেয়ে টুম্পার কাছে থাকত জীবন। সম্ভবত তখনই মাটিতে যা পড়ে থাকত তাই তুলে খেয়ে ফেলেছে।

সূত্র : আনন্দবাজার।

/ এআর /