ঢাকা, রবিবার   ০৬ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২২ ১৪৩২

কাঠমুন্ডু পোস্টের প্রতিবেদন প্রত্যাখান ইউ-এস বাংলা’র

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

গত মার্চে নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশের ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সের ‘বিএস২১১’ বিমানের ক্যাপ্টেন মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে দাবি করা এক প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বিমান অপারেটরটি। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্তদলের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে করা দৈনিক কাঠমুন্ডু পোস্টের ঐ প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

আজ সোমবার কাঠমুন্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ মার্চে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন এর পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান। এছাড়াও বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নেপাল সরকারের গঠন করা তদন্ত দলের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর থেকেই লাগাতার ধূমপান করছিলেন আবিদ সুলতান।

আর এই ধূমপানের জন্য আবিদ সুলতানের ব্যক্তিগত সমস্যা ও মানসিক উদ্বেগকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর শেষ অবধি, বিমান বিধ্বস্তের জন্য আবিদ সুলতানকেই প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে বলেও জানায় কাঠমুন্ডু পোস্ট। আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তকারী দল প্রতিবেদন প্রকাশ না করলেও তার একটি কপি পত্রিকাটির কাছে আছে বলে দাবি করা হয়।

তবে কাঠমুন্ডু পোস্টের এই প্রতিবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ  থেকে বলা হয় যে, দেশের এভিয়েশন খাতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন প্রতিবেদন করা হয়েছে। একই সাথে আবিদ সুলতানকে একজন দক্ষ বৈমানিক হিসেবে উল্লেখ করে এই দূর্ঘটনায় আবিদ সুলতানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

বিমান অপারেটর হিসেবে এমন কোন প্রতিবেদন এখনও ইউএস বাংলা পায়নি বলে জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এছাড়াও ককপিটে পাইলট ধূমপান করছিলেন কী না তা নিশ্চিত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম ইটিভি অনলাইনকে জানান, “ককপিটে তো সিসি ক্যামেরা নেই যে পাইলট ধূমপান করল আর তার ছবি থাকলো। ব্ল্যাকবক্স থেকেও এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাহলে এই প্রতিবেদন কীভাবে করা হলো?”

এসময় কাঠমুন্ডু পোস্টের প্রতিবেদনের যথার্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে কামরুল ইসলাম বলেন, “যে প্রতিবেদন আমরা নভেম্বর বা ডিসেম্বরে পাবো বলে জানানো হয়েছে সেই প্রতিবেদন অন্য পত্রিকা কীভাবে পায়? আর অসমর্থিত সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এতো বড় একটি ঘটনা নিয়ে এভাবে প্রতিবেদন হয় কীভাবে?” এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের দেশের বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করারও অনুরোধ করেন প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা। ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে’ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ভুল বের করতেই এমন প্রতিবেদন করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটি।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ সোমবার ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন কেবিন ক্রু-সহ ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। উড়োজাহাজটি নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জন নিহত হন৷ তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি৷ এ ঘটনায় ২০ জন প্রাণে বেঁচে ফেরেন। ঘটনার পরপরই বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে।

//এস এইচ এস//