ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

চীনের পিরামিডজুড়ে মাথার খুলি, বিস্মিত প্রত্নতাত্ত্বিকরা!  

প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

মিশরকে পিরামিডের দেশ বলা হয়। পিরামিডের কথা মনে হলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে নীল নদের তীরে অবস্থিত পিরামিডের সারি সারি ছবি। চীনেও পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেটা  চীন সভ্যতার প্রথম দিকের, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগের কথা। তখন  সেখানে গড়ে ওঠা একটি শহরে বিশালাকৃতির এক পিরামিডের সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।  

মিসরের পিরামিডের সঙ্গে চীনের এই পিরামিডের পার্থক্য যেমন আঙ্গিকে, তেমনি বৈচিত্র্যেও। মিসরের পিরামিডে মমি করে মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। চীনের পিরামিডে পাওয়া গেছে অনেকগুলো মানুষের মাথার খুলি।এক সাথে এত মানুষের মাথার খুলি দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন বিশেষজ্ঞ টিম।   

পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলোর একটি হচ্ছে চীনা সভ্যতার শুরুর দিকটি ছিল ব্রোঞ্জ যুগের প্রায় শেষ সময়। এ সময়ই, অর্থাৎ ২৩০০ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পত্তন হয় ডাবড সিমাও নামে এ শহরটির। কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া এ শহর ১৯৭৬  সালে  আবিস্কারের পর পর এর ধ্বংসাবশেষ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করে সে দেশের প্রত্নতত্ত  বিশেষজ্ঞরা।

৯৮৮ একর জুড়ে এই শহরে প্রথমে তেমন কিছু না পেলেও পরে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এই পিরামিডের সন্ধান পেয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা বেশ অবাকই হয়েছেন। টুয়েই নদীর ধারে এই পিরামিড ৭০ মিটার উঁচু। এর বাইরের  দিকটি ১১টি বিশালাকৃতির ধাপবিশিষ্ট। দুটি মোটা দেয়াল দিয়ে পিরামিডটি ভেতর ও বাইরের দিক থেকে সুরক্ষিত। মানুষের মাথার খুলিগুলো পিরামিডজুড়ে অনেকগুলো গর্তের ভেতর রাখা ছিল। সম্প্রতি অ্যান্টিকি নামে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক এক জার্নালে গবেষকরা বলছেন, এসব খুলি গণনরবলির শিকার ব্যক্তিদের। 

পিরামিডটি ছিল ডাবড সিমাও শহরের সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা। তাই শহরের যে কোনো প্রান্ত থেকে দেখা যেত এটি। প্রবেশ পথের পাশেই আছে  উন্মুক্ত একটি  মাঠ। এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আচার পালনের পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাবেশ হতো বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। এই পিরামিডের পাশে আবাসিক কমপ্লেক্সে থাকতেন শহরটির শাসকরা। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, চীনা সভ্যতার প্রথম দিক সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানা যাবে এই পিরামিড থেকে।  

কেআই/এসি