ঢাকা, রবিবার   ০৬ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২২ ১৪৩২

শ্রমিক নিয়োগে নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত : ০৯:৪২ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:১৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

চলমান বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে মালয়েশিয়া সরকার। সিস্টেম পারমোহনান পাকেরজা আসিং (এসপিপিএ) হলো বিদেশিকর্মী নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এসপিপিএ সিস্টেম বাতিল করে বাংলাদেশসহ বাকি ১৩ ‘সোর্স কান্ট্রি’র প্রযোজ্য নীতিমালার আওতায় নেয়া হবে বলে ২১ আগস্ট সে দেশের সরকার নোটিশ জারি করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল দাতো ইন্দেরা খাইরুল দাজমি বিন দাউদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, বিগত সরকার বাংলাদেশের যে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মারফত শ্রমিক নিত, তাদের এসপিপিএ সিস্টেম সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকেই বাতিল হয়ে যাবে।

ড. মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত দুই বছরে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগসাজশে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকদের পাঠানোর ক্ষেত্রে দুই বছরে কমপক্ষে ২০০ কোটি রিঙ্গিত (৪ হাজার ৮০ কোটি ৩ লাখ টাকা ) হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে সরকারি পর্যায়ে (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়া শুরু করে মালয়েশিয়া। ২০১৬ সালে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জি-টু-জি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার সমঝোতা হয়। দু’দেশের সমঝোতার পরপরই বাংলাদেশ সরকার ৯শ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠায় মালয়েশিয়া সরকারের কাছে।

সূত্র জানায়, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ মালয়েশিয়া স্থগিত করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে মাথাপিছু দুই হাজার রিঙ্গিত খরচ হবে, কিন্তু এজেন্টরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত আদায় করেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১০টি এজেন্সি সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। এ সিন্ডিকেটের পকেটে ২০০ কোটি রিঙ্গিত গত দুই বছরে গেছে। আর এ অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ স্থগিত থাকবে।

এমজে/