ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

মার্কিন চাপই ইমরানের সফলতার পথে বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৪২ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

পাকিস্তানের আগের সরকারগুলোর মতোই নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বসে আনার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে আগের সরকারগুলোর মতো ইমরান খানকে কব্জায় নিতে একই সঙ্গে চাপও প্রয়োগ করছে পশ্চিমা দেশটি।

পাকিস্তানের উর্দু দৈনিক উম্মাত বলেছে, পাকিস্তানকে স্বাধীন নীতি অনুসরণ করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে আমেরিকা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে মার্কিন অর্থ সাহায্য বন্ধ হওয়ার পর ইমরান খান আরও সরব হয়েছিলেন।

ওই সময় ইমরান খান অভিযোগ করেন, দেশের সরকারগুলো নিজ দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তাবেদারে পরিণত হয়েছে। নিজের নাক কেটে যুক্তরাষ্ট্রকে জায়গা করে দিয়েছে। আর এতে পাকিস্তান শতাব্দীর সবচেয়ে বড় খেসারত দিয়েছে বলে মনে করেন ইমরান। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ইমরানকে বসে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও পাকিস্তান সফরে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন।

এসব বিষয়ে পত্রিকাটি বলেছে, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের জোরদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে আমেরিকা; এজন্য ওয়াশিংটন চাপ সৃষ্টির নীতি গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি, টেলিফোনে ইমরান খান ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করলেও দু দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত রয়েছে। ওই আলোচনার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতি দিয়ে বলেছিল যে, পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসীরা তৎপর রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধ ইসলামাবাদকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাক পররাষ্ট্র দপ্তর ওই বিবৃতি নাকচ করে। দৈনিক উম্মাত বলছে, মার্কিন সরকারের বিবৃতি থেকে পরিষ্কার হয়- পাকিস্তানকে স্বাধীন নীতি অনুসরণ করা থেকে বিরত রাখতে ওয়াশিংটন ইচ্ছা করেই এমন বিবৃতি দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইমরান খানের নতুন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমেরিকাকে সামাল দেয়া। কীভাবে তিনি মার্কিন চাপ সামলান সেটাই হবে ইমরানের জন্য আসল পরীক্ষা।

এমজে/