ওষুধ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৪৬ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশে। এ প্রকল্প চালু হলে এখান থেকে উৎপাদিত ওষুধ সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা হবে। নাসিম বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ওষুধ সেক্টরে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (তৃতীয় প্রকল্প) গোপালগঞ্জের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মাসের যে কোনো দিন এই প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। ২০১৫ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সরকারি এই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই পুরো ব্যয়বহন করা হচ্ছে সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের চারটি ইউনিটের মধ্যে পেনিসিলিন ইউনিটটি সেপ্টেম্বরে ট্রায়েল উৎপাদনে যাবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এটি পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদনে যাবে। তাছাড়া অন্য ইউনিটগুলোর পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে যেতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। এই ইউনিটে পেনিসিলিন জাতীয় ১২ ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করা হবে। ইডিসিএল’র নতুন এই কারখানায় ৭৭৮ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ইডিসিএল সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মোট ওষুধের চাহিদার ৭২ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। এই কারাখানা উৎপাদন প্রক্রিয়া পূর্ণমাত্রায় শুরু হলে শতভাগ ওষুধ সরবরাহ এখান থেকে সম্ভব হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ইডিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
এসি