ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৮ ১৪৩১

এশিয়ায় দরকার হবে আড়াই লাখ নতুন পাইলট

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

আপনি কি চাকরি খুঁজছেন? তাহলে একজন এয়ারলাইন পাইলটের প্রশিক্ষণ নিন এবং এরপর চীনে চলে যান। কারণ উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং পূর্বার্ভাস দিচ্ছে যে আগামী দুই দশকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হাজার হাজার পাইলট, টেকনিশিয়ান এবং কেবিন ক্রু দরকার হবে।

সেখানে এত বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে যে মানুষের বিমান ভ্রমণ অনেক বাড়বে। বোয়িং এর হিসেবে ২০৩৭ সাল নাগাদ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২ লাখ ৪০ হাজার পাইলট এবং ৩ লাখ ১৭ হাজার কেবিন ক্রুর চাহিদা তৈরি হবে। এদের অর্ধেকেরই চাকরি হবে চীনে।

এই অনুমান যদি সঠিক হয়, সেটি বিমান পরিবহন খাতে দক্ষ জনশক্তির সংকট আরও তীব্র করে তুলবে। কারণ এখনই যথেষ্ট দক্ষ পাইলটের ঘাটতি আছে এই সেক্টরে।

বোয়িং হিসেব করে দেখেছে, কেবল চীনেই দরকার হবে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫শ পাইলট। আর দক্ষিণ এশিয়ায় দরকার হবে ৪২ হাজার ৭শ ৫০ জন পাইলটের। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তার কিছু বেশি, ৪৮ হাজার ৫শ।

বোয়িং নিজেই একটি পাইলট তৈরির কর্মসূচি চালায়। কিন্তু তারা যে পরিমাণ পাইলট প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করবে, সেটি এই খাতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

বোয়িং এর ট্রেনিং এন্ড প্রফেশনাল সার্ভিসেস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কিথ কুপার বলেন, পুরো অঞ্চলে পাইলটের চাহিদা বাড়তেই থাকবে এবং এবং আগামী কয়েক বছর ধরে তা চলবে।

বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, যদি যথেষ্ট পাইলট তৈরি করা না যায়, বিমান পরিবহন খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে।

বোয়িং এর চিফ এক্সিকিউটিভ ডেনিস মুইলেনবার্গ বলছেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেটা উড়োজাহাজ নির্মাণের খরচ বাড়াতে পারে। তার মতে বিমান পরিবহন খাতের প্রবৃদ্ধি অনেকখানি নির্ভর করে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর।

সূত্র: বিবিসি

একে//