ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

সরকারের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতিতে জড়িতদের শাস্তি নেই

প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৫৪ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার

সরকারের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম, দুর্নীতি হলেও, জড়িতদের শাস্তি পাওয়ার ঘটনা খুবই কম। অভিযোগ আছে, অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া অথবা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যায় দুর্নীতিবাজরা। এই সংস্কৃতির অবসান না হলে সরকারি ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরবেনা বলে মত সংশ্লিষ্টদের। সরকারের মালিকানায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে একসময় সবচেয়ে ভাল অবস্থানে ছিল বেসিক ব্যাংক। কিন্তু, ধারাবাহিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটে প্রতিষ্ঠানটি এখন মুমূর্ষু। এই ব্যাংকের প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাড়ের প্রমাণ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য অভিযোগের আঙ্গুল উঠে প্রতিষ্ঠানটির সে সময়ের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারায় একাধিকবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ অর্থমন্ত্রী। সোনালী ব্যাংকের প্রায় চার হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় হলমার্কের মালিক তানভীর মাহমুদ এখনো জেলে থাকলেও, টাকা উদ্ধার নিয়ে আছে সংশয়। ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিল পার্চেসের মাধ্যমে ওই টাকা তুলে নেয়া হলেও, দায় এড়াতে পারে না পরিচালনা পর্ষদ। অন্যদিকে, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দু’ হাজার কোটি টাকার বেশি লুটে নেয়া বিসমিল্লাহ গ্র“পের খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরীর টিকিটিরও নাগাল পাওয়া যায়নি। ব্যাংকিং খাতের আরও এমন অনেক দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়ে গেছে চেখের আড়ালে। এসব কারণে ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম দুর্নীতি উৎসাহিত হচ্ছে বলে মনে করে টিআইবি। দুর্নীতিবাজদের বিচারের পাশাপাশি সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের পরিচালনা পর্ষদে আনা প্রয়োজন বলে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সাবেক গভর্নর। সরকারি ব্যাংকগুলোর দেখভালের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে দেয়ারও পরামর্শ বিশ্লেষকদের।