ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

ডাকসু নির্বাচন: ঢাবি ভিসিসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:০৪ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালটির ভিসি ড. মো. আক্তারুজ্জামানসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ভিসি ছাড়া অন্য দুইজন হলেন- ঢাবির প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন।

মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান।

এ প্রসঙ্গে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নোটিশপ্রাপ্ত তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকার্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

জানা যায়, এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। ঢাবি কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা অনুসারে ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠান আইন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনও জবাব না দেওয়ায় ওই বছরই ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। এর পর ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বিবাদী ছিলেন শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর। রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সালের পর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ঢাবি কর্তৃপক্ষ ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসন আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। তাই যথা সময়ে নির্বাচন করার নির্দেশনা চাওয়া হয় এই রিট আবেদনে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসু নির্বাচন হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আর তাদের এ ব্যর্থতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

 

একে//