ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ভিডিও

মামুনকে হারানোর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে: মনজুরুল আহসান বুলবুল

প্রকাশিত : ০৮:২৪ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:০৩ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার

একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল

একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল

একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, মামুন অামাদের একুশে পরিবারের একজন অপরিহার্য্য সদস্য ছিল। খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতো। প্রধানমন্ত্রী বিটে বিশ্বাস্ততার সঙ্গে কাজ করতো সে। উদীয়মান সাংবাদিক হিসেবে তাকে হারানোর যে ক্ষতি তা কাটিয়ে উঠতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অামাদের অনেক সময় লাগবে। সে এই বিটের একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছিলেন। মামুন সাংবাদিকতাকে সব কিছু দিয়ে অাঁকড়ে ধরেছিল।

অাজ মঙ্গলবার একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মামুনুর রশীদের জানাজা শেষে তিনি একথা বলেন। সকাল এগারোটায় একুশে টেলিভিশনে এবং দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গনে মামুনুর রশীদের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতারা অংশ নেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মামুনুর রশীদকে নিয়ে এক স্ট্যাটাসে একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল লিখেন, ‘জন্মদিন পালনে প্রথম প্রহরে সব আয়োজন নিয়ে বন্ধু শুভানুধ্যায়ীরা প্রস্তুত। কিন্তু ৩৩-এ পা দেওয়ার মাত্র ৫৬ মিনিট আগে চলে গেল মামুন । নিউজরুমে স্ক্রিপ্ট দেখে খুঁজি মামুনকে, সে নাই, রাগও করি কিন্তু রাগটি ভিত্তি পাওয়ার আগেই এসে হাজির। নিঃশব্দ হাসি দিয়ে আত্মসমর্পণ- ভাই কই ভুল করছি? কিন্তু ০৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১.০৪ মি. তার চলে যাওয়া মানে আর ফিরে না আসা! মাত্র ৩২। নানা প্রতিবন্ধকতা পায়ে দলে সাংবাদিক ‘হয়ে ওঠা’ কেবল শুরু কিন্তু এ সময়ে নাই হয়ে যাওয়া! মামুন, এটা ঠিক না! কতবার বলেছে , ভাই ৫টা বছর আপনার সঙ্গে কাজ করি, বড় সাংবাদিক হয়ে যাব। একজন আগ্রহী তরুণকে গড়ে পিটে তোলার সুযোগটাওতো হারালাম, এত আমারও ক্ষতি। এ রকম তাজা এক তরুণকে সাদা কাপড়ে আবৃত করে মরচুয়ারীতে রাখা, সহ্য করা কঠিন। সব বুকে চেপে তবুও বলি, হ্যাপি বার্থ ডে মামুন। ভালো থাক। তোমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী আজ; নিজের জন্মদিনে বাবার কাছে যাওয়া এ এক অন্যরকম আনন্দ। ভালো থাক বাবার সঙ্গে।’

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মামুনুর রশীদ মারা যান।

/এসএইচ/