ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নড়াইলে সুলতান উৎসবে শিশুদের মিলনমেলা

নড়াইল সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে নড়াইলে চারদিনব্যাপী সুলতান উৎসবের তৃতীয়দিনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরে ছবি এঁকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৫০০ শতাধিক শিশু অংশগ্রহণ করে। এ সময় পাখির ছবি এঁকে দর্শকসহ দেশ-বিদেশের অতিথিদের মুগ্ধ করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

এ প্রসঙ্গে চিত্রশিল্পী বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এসপি স্যার অসাধারণ ছবি এঁকেছেন। যেন দক্ষ হাতে রঙতুলির ছোঁয়া। কলকাতার গভর্মেন্টস কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটের সহযোগী অধ্যাপক সুমন পাল বলেন, পাখির ছবি এঁকে আমাদের মুগ্ধ করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। রঙতুলিতে তিনি নান্দনিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অশোক কুমার শীল, এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফ, সদস্য সচিব বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর প্রলয় ঘোষাল, কলকাতার গভর্মেন্টস কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটের সহযোগী অধ্যাপক সুমন পাল, পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সমালোচক পার্থ প্রতিম রায়, আসাদ রহমান প্রমুখ।

চিত্রাঙ্কন শেষে শিশুদের মাঝে খাবার প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী। উৎসব উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্যের একাধিক স্টল বসেছে। এছাড়া স্থানীয় চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুলতান উৎসবে প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান রয়েছে। এ দিকে আগামিকাল শনিবার বিকেল ৩টায় সুলতান উৎসবের শেষদিনে নড়াইলের চিত্রা নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর নড়াইলে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে ১৯৮২ সালে ‘একুশে পদক’, ১৯৮৪ সালে ‘রেসিডেন্ট আর্টিস্ট’ ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন। এ ছাড়াও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার লাভ করেন।  

একে//