ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

নবীন- প্রবীণ পুষ্টিবিদদের মিলনমেলা

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:০৬ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

বাঁচতে হলে খেতে হবে। তবে সব খাওয়া যাবে না। কোনটি খাব কোনটি খাব না কোনটি কতটুকু খাব এবিষয়ে প্রয়োজন সম্যক জ্ঞান। প্রয়োজন সচেতনতা। আর এই সচেতনতাবোধ চারপাশে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে `বেটার ফুড বেটার নিউট্রিশিয়ান` নামক একটি সংগঠন। মূলত অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু হলেও সংগঠনটির সচেতনতা মূলক কার্যক্রম এখন চলছে দেশের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

আজ ( শুক্রবার) ছিল বেটার ফুড বেটার নিউট্রিশিয়ানের আনুষ্ঠানিক প্রথম বর্ষপূর্তি। সে উপলক্ষে রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংগঠনটি আয়োজন করে নিউট্রিশিয়ানিস্ট এন্ড ডায়াটেশিয়ানস গেট টুগেদার-১৮"।

বেলা তিনটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুটা থেকেই ভরে উঠে অনুষ্ঠান স্থল। ঘড়ির কাঁটা যখন তিনটা ছুঁই ছুঁই তখন কানায় পরিপূর্ণ। নবীন- প্রবীনের এক অভূতপূর্ব মিলন। সবার একটাই পরিচয়- নিউট্রিশিয়ান এবং ডায়াটেশিয়ান। কেউ এখনো ছাত্র। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন। আবার কেউ কেউ পাশ করে বেরিয়ে ভাবছেন আগামী দিনের ক্যারিয়ার নিয়ে। তবে সবচেয়ে বড় চমক খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে যারা সফল হয়েছেন তারা।

গেট টুগেদার হওয়ায় খুব বেশি আনুষ্ঠানিকতা না রাখলেও অনুষ্ঠানের মধ্যমনি হয়ে উঠেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন। সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন এ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।

আরো ছিলেন জাতীয় বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার মহুয়া, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে কর্মরত পুষ্টিবিদ সৈয়দা লিয়াকত, শমরিতা হাসপাতালে কর্মরত পুষ্টিবিদ এসএম শম্পা, আনোয়ার হোসেন খান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত পুষ্টিবিদ সুফিয়া হেলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত পুষ্টিবিদ তাসনিম পাপিয়া ও বিখ্যাত খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইগলু`র সিইও কামরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রায় দেশের আটটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গার্হস্থ অর্থনীতি কলেজ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

নিউট্রিশিয়ান ও ডায়াটেশিয়ানদের ক্যারিয়ারের সম্ভবনা এদেশে কেমন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান পড়ে কোথায় কোথায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব, এ খাতে চাকরির বাজার কেমন, বর্তমানে এ খাতে সমস্যাগুলো কী কী, কীভাবে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা যায়- এমন অসংখ্য বিষয় উঠে আসে শিক্ষক- শিক্ষার্থী, নবীন প্রবীণদের আলোচনায়। ছাত্র ছাত্রীদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন। এছাড়া পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান নির্ভর ক্যারিয়ার গড়তে যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়, তা কাটিয়ে উঠার নানা দিক নিয়েও বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা বক্তব্য রাখেন।

এ আয়োজন সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, একটি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য সুস্থতার বিকল্প নেই। আমরা যদি গুণগত খাদ্য ও পুষ্টি প্রয়োজন মতো নিতে পারি এবং জনগণকে সচেতন করতে পারি তাহলে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত সুখী বাংলাদেশ পাব। সেই জায়গা থেকে তরুণদের এ আয়োজন প্রশংসার দাবিদার।


আয়োজক সংগঠনের মুখপাত্র প্রবল কুমার মন্ডল বলেন, আমরা প্রতি বছর এমন একটি আয়োজনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেটি সম্ভব।


এএ/ এমজে