ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

রক্ত দানে পূর্ণতা আনে: পারভীন জলি

ডা. কাওছার পারভীন জলি

প্রকাশিত : ০৯:০৩ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:০৬ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার

আমাদের শরীরে ব্লাড সেলগুলো প্রতি তিন মাস পর পর নষ্ট হয়ে আবার নতুন সেল তৈরি হয়। সে কারণে আমরা রক্তদান করলে কোনো ঝুঁকি থাকে না। বরং যাকে ডোনেট করা হচ্ছে সে উপকৃত হয়। রক্তদান সম্পর্কে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, রক্ত দিলে দূর্বল হয়ে যাবে, শরীরে নানা রকম সমস্যা হবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে রক্ত দিলে কোনো সমস্যা হয় না। রক্ত দিলে ক্ষতি হয়, এ ধরনের ভ্রান্ত ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একের রক্তের মাধ্যমে অন্যের জীবনের মঙ্গল বয়ে আনে।

কাজেই ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই নিশ্চিন্তে রক্ত দিতে পারে। কিন্তু অনেক মেয়েদের শরীরে আয়রণের ঘাটতি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পারসেন্টেজ চেক করে রক্ত দেওয়া ভালো।

আসলে রক্তের বিকল্প কিছু নাই, রক্তের রিপ্লেস রক্ত দিয়েই হয়। ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, অ্যাক্সিডেন্ট, হিমোফিলিয়া এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্যে অনেক সময় রক্তের প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু থ্যালাসেমিয়া রোগীকে মাসে তিন থেকে চার বারও রক্ত দিতে হয়।

আমি মনে করি, যারা সুস্থ এবং রক্তদানে সক্ষম তাদের নিয়মিত চার মাস পর পর রক্ত দেওয়া উচিৎ। কারণ আপনার তো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। কিন্তু একজন মানুষ উপকৃত হচ্ছে। আর ধর্মীয় দিক থেকেও এটা অত্যন্ত পূণ্যের।

অনেক প্রতিষ্ঠান রক্ত সরবরাহ করে থাকে। যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো রক্ত সরবরাহ করে আমরা রোগীদের তাদের কাছেই পাঠাই। রক্তের জন্যে এমনকি ইমারজেন্সি হলেও আমরা রক্ত পাচ্ছি। তাদের কাছে ব্লাডের জন্যে পাঠিয়ে আমরা কখনো ফেরত আসিনি। যেভাবে হোক তারা জোগার করে দেয়।

তারা খুবই অল্প খরচে এবং দ্রুত রোগীদের রক্ত দিচ্ছে এবং কোয়ালিটি মেইনটেইন করে দিচ্ছে কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংক। এ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠান থেকে যত রক্ত দিয়েছি, রোগীদের কোনো রকম সমস্যা পাইনি। আমরা সবসময় দেখি যে, তাদের রক্ত একদম রিসেন্ট। একদিন দুদিনের মধ্যেই কালেক্ট করা। অন্যান্য জায়গায় অনেক সময় আমরা দেখি অনেক পুরনো রক্তও দিয়ে দেয়। রোগীকে বাঁচানোর জন্যে আমরা ওগুলো নিয়ে আসি বা রোগীরা নিয়ে আসে। কিন্তু দেখা যায় ওগুলো দিতে গেলে অনেক সমস্যা হয়ে যায়।


লেখক: গাইনী বিশেষজ্ঞ, মা ও শিশু হাসপাতাল, মাতুয়াইল।

এসএইচ/