‘ধনীরা হাঁচি-কাশি হলেই বিদেশে চিকিৎসা নেয়, এতে আমার আপত্তি নেই’
প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে এখন অনেক ধনীক শ্রেনী গড়ে উঠেছে। তাদের একটু অসুখ হলেই, হাঁচি-কাশি হলেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে চায়, এতে আমরা তো কিছু মনে করি না। কারণ হাসপাতালের জায়গা তো খালি থাকে। যাতে দরিদ্র-অসহায়রা চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পায়।
আজ বেলা ১১ টায় বিএসএমএমইউতে এক হাজার শয্যার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও ডক্টরস ডরমেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, উপ উপাচার্য রফিকুল আলম, প্রক্টর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি যারা অনেক অর্থশালী, সম্পদশালী তারা বিদেশে যেতে চাইলে যাক। আমার কোনো আপত্তি নাই। এই কারনে যে, এতে করে সাধারণ মানুষ, নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত যারা, তারা হাসপাতারে একটু জায়গা পাবেন। চিকিৎসা করার সুযোগ পান। এ জন্য সে সুযোগটা তাদের জন্যই থাক।
তিনি আরো বলেন, বড়লোক যারা আছেন, অনেক টাকা পয়সার মালিক, এয়ার এম্বুলেন্সে করে তারা বিদেশে যায়। এতে করে আমার জায়গাটা তো খালি হলো। সাধারন মানুষের চিকিৎসার সুযোগ হলো। সেদিকটায় আমার কোনো আপত্তি নাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যারয় করার সময়ই আলাদা একটা ফান্ড গঠন করে দিয়েছিলাম। এখানে যে টাকাটা জমা থাকবে, সেখান থেকে গরীব, দরিদ্র রোগী, যাদের কোন টাকা পয়সা দেওয়ার সামর্থ্য নাই তারা সেখানে আবেদন করলে টাকা পয়সা ও চিকিৎসা সেবা পান। আমি চাচ্ছি সে ফান্ডে আরও কিছু টাকা বাড়াতে। আমি আমার প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে এই ফান্ডে আরও ১০ কোটি টাকা দিয়ে দেবো।
/ এআর /