বায়ুবিদ্যুৎ মরুভূমিতে বৃষ্টি বাড়াবে
প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সাহারা মরুভূমিতে প্রচুরসংখ্যক সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল ও বায়ুবিদ্যুতের জন্য টার্বাইন স্থাপন করায় তা সেখানকার বৃষ্টিপাত, গাছপালা এবং তাপমাত্রায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা দেখেছেন, বায়ুবিদ্যুতের টার্বাইন এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দ্বিগুণ করে তুলতে পারে। বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনটা জানানো হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে পরিবেশের ও আবহাওয়ার একটা পরিবর্তন আসবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
এতে সমাজে ইতিবাচক একটা পরিবর্তন হগতে পারে। সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলেরও একই ধরনের প্রভাব রয়েছে, যদিও সেটা ভিন্নভাবে কাজ করবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নবায়নযোগ্য শক্তির বৃহৎ পরিসরে প্রসার এই সাহারা অঞ্চলের পরিবর্তন আনবে। এই ৯ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার অঞ্চলকে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল দিয়ে ঢেকে দিলে কী হতে পারে, বিজ্ঞানীরা সেটাই দেখার চেষ্টা করেছিলেন। তারা এ অঞ্চলটির প্রতি মনোযোগী হয়েছিলেন। কেননা এই বিশাল জনবিরল অঞ্চল থেকে যে পরিমাণ সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত করা সম্ভব, তা মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের প্রায় কাছাকাছি।
গবেষকদের ধারণা, মরুভূমিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের জন্য ব্যাপক পরিমাণে এসব স্থাপন করলে তা থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তা
বর্তমান সময়ের চারগুণ। এর আগেও গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুবিদ্যুৎ ও সৌরবিদ্যুতের জন্য স্থাপিত প্যানেল ও টার্বাইন তাপমাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু এই গবেষণায় আরও প্রমাণ হয়, উদ্ভিদের ওপরও এসব প্রভাব ফেলে।
গবেষক ড. লি জানান, বায়ুবিদ্যুতে টার্বাইনের পাখার ঘূর্ণন বায়ুমণ্ডলের ওপরের গরম বাতাসকে মিশ্রিত করে। যার ফলে বাষ্পীভবনের সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং গাছপালা জন্মাতে সাহায্য করে। এই টার্বাইনের ঘূর্ণন বাতাসের ঘনত্ব বাড়ায় এবং বায়ুকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত করে। এর ফলে বাতাস ঠাণ্ডা হয়, আর্দ্রতা বাড়ে এবং বৃষ্টিপাত বাড়ায়।
গবেষণা প্রতিবেদনটি বলছে, সৌর প্যানেল মূলত ভূমণ্ডলে সূর্যের আলোর প্রতিফলন কমায়। এটি এলবেডো এফেক্ট হিসেবে পরিচিত। ইতিবাচক এলবেডো এফেক্ট ৫০ ভাগ বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি এবং গাছপালা জন্মাতে সাহায্য করে থাকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
এসএইচ/